মনিরুজ্জামান সুমন : [২] চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছে।
[৩] রোববার (১৮ অক্টোবর) ভোর ৪টা ১৫ মিনিটে ওমিদুলকে চুয়াডাঙ্গার ঠাকুরপুর সীমান্তের বিপরীতে ভারতীয় অংশে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় লাশ ফেরত চেয়েছে বিজিবি।
[৪] নিহত ওই যুবকের নাম ওমিদুল ইসলাম (২৭)। তিনি চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।
[৫] জানা যায়, রোববার ভোরে একদল গরু চোরাকারবারি দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর সীমান্তের ৮৮-৮৯ মেইন পিলারের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে।এ সময় ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর থানার লিঙ্গের পোতা বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে অহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে নিহত হন। এর পর তার সঙ্গীরা পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন।
[৬] চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খালিকুজ্জামান বলেন, অহিদুল পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। তিনি ভারতে গরু আনতে গিয়েছিলেন। রোববার সকালে তার পরিবারের লোক অভিযোগ করলে আমরা বিএসএফের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাই। এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে নিহতের মরদেহ ফেরত চেয়ে বিএসএফকে চিঠি দেয়া হবেও জানান কর্নেল খালিকুজ্জামান।
[৭] বিজিবি পরিচালক জানান, গরু আনতে যাওয়ার কথা সঠিক নয়। চুয়াডাঙ্গার কোনো সীমান্তপথে গরু আসছে না। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করার দাবি তুলেছি। লাশ ফেরত চাওয়া হয়েছে। অন্যায়ভাবে হত্যার প্রতিবাদ এবং পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছি।
[৭] সম্প্রতি সীমান্ত সম্মেলনে ভারতীয় বাহিনী সতর্ক থাকবে বলে অঙ্গিকার করা হলেও নিয়মিতই ঘটছে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা। নিয়মিতই বিএসএফ গুলি করে বাংলাদেশিদের হত্যা করছে বিভিন্ন সীমান্তে। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :