ফরহাদ আমিন: [২] কক্সবাজারের টেকনাফে নয়াপাড়া রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ও দেশীয় তৈরী রামদা-কিরিচসহ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সালমান শাহ ও মুন্না গ্রুপের তিন সদস্যকে আটক করেছে এপিবিএন পুলিশ সদস্যরা।
[৩] শুক্রবার বিকেলে নয়াপাড়া রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্প বল্ক এইচ/এফ এলাকা থেকে ইয়াবা ও দেশীয় রামদা-কিরিচসহ তাদের আটক করা হয়।আটক রোহিঙ্গারা হলেন,উখিয়া বালুখালী ৯নম্বর শরণার্থী ক্যাম্পের ব্লক বি/৯এর বাসিন্দা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মুন্না গ্রুপের সদস্য হামিদ হোসেনের ছেলে সৈয়দুল আমিন(২৫),হ্নীলা ইউপি নয়াপাড়া রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের ই-ব্লকের ৯৭৪ নম্বর শেডের বাসিন্দা শামসুল আলমের ছেলে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সালমান শাহ গ্রুপের সদস্য মো. নুরুন্নবী (২৯) ও শালবাগান ক্যাম্পের ব্লক এফ/৫নম্বর শেডের বাসিন্দা মৃত আব্দুস সালামের ছেলে কবির মাঝি (৫২)।
[৪] এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) অধিনায়ক মোহাম্মদ হেমায়েতুল ইসলাম।তিনি বলেন,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নয়াপাড়া এপিবিএন পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র ) রকিবুল ইসলামের নেতৃত্বে উপ পরিদর্শক মাহবুব হোসেনসহ এপিবিএন পুলিশের একটি দল ক্যাম্পের এইচ ব্লকের এফ-৫নম্বর শেডের কবির মাঝির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৪শ পিস ইয়াবা,দেশীয় তৈরি দুইটি রামদা ও একটি কিরিচসহ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সালমানশাহ ও মন্না গ্রুপের তিন সদস্যকে আটক করা হয়।
[৫] তিনি আরো বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইন শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে কিছু সন্ত্রাসী।সেখানে উগ্রপন্থী লোকজনও জড়িত বলে তারা বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছে। এরপর থেকে ক্যাম্পগুলোতে ব্যাপক নজরদারি বাড়ানো হয়। সম্ভাব্য স্থানে অভিযানও চালাচ্ছে প্রশাসন। ইতোমধ্যে অনেক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়েছে।
[৬] শুক্রবার গ্রেফতার হওয়া সন্ত্রাসী নুরুন্নবী কিছু দিন পূর্বে উখিয়া থানায় অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়েছিল। সে সালমানশাহ গ্রুপের সদস্য।তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ও দেশীয় রামদাসহ আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :