মঈন উদ্দীন: [২] রাজশাহীর বাজারে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না চালসহ সবজির দাম। সরকার নির্ধারিত দামে চাল ও আলু বিক্রি না করে ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছেমত দামে চাল ও আলু বিক্রি করছেন। এ ক্ষেত্রে সরকারী মনিটরিং থাকার কথা থাকলেও রাজশাহীর বাজারে মনিটরিং নেই। এ অবস্থায় গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে চিকন চালের দাম বেড়েছে বস্তা প্রতি ২৫০ টাকা পর্যন্ত।
[৩] অপরদিকে, এক মাস আগে বাজারে আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকায় পাওয়া যেতো। কিন্তু মাস ঘুরতে না ঘুরতে সেই আলুর দাম এখন বেড়েছে ২০-২৫ টাকা। সরকার ৩০ টাকা কেজি দর বেধে দিলেও শুক্রবার রাজশাহীর খুচরা বাজারগুলোতে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকার মধ্যে।আলুর পাশাপাশি বাজারে সকল সবজির দামও ছিল চড়া। পটল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, বেগুন ৬০, ঢেঁড়স ৫০, করলা ৮০, কচু ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছড়াও কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ২৪০ টাকা, পিয়াজ ৮০ টাকা ও শশা ৬০ টাকা কেজি দরে।
[৪] রাজশাহী সাহেববাজারের সবজি বিক্রেতারা বলেন, শুক্রবার সাহেববাজারের কোন আড়তে আলু নাই। আগে যাদের কেনা ছিল তারাই শুধু খুচরা বিক্রি করেছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি। তাদের কেনা আছে ৪০ টাকা কেজি। এছাড়াও বন্যার কারণে সবজির খেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সবজির আমদানি কমে গেছে। এ কারণে এই বাড়তি দাম।
[৪] সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চালের বাজার সরকারি কোন পদক্ষেপেই সিন্ডিকেট মুক্ত করা যাচ্ছে না। চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে অসাধু ব্যবসায়ী, মজুদদার ও সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। মূল্য নিয়ন্ত্রণে মাঠে রয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত ৭টি মনিটরিং টিম। কিন্তু তারপরও সিন্ডিকেট মিল মালিকদের কারসাজি বন্ধ হচ্ছে না। বরং কোনো কারণ ছাড়াই অস্থির হয়ে উঠছে চালের বাজার।
[৫] রাজশাহীর সাহেববাজার চাল ব্যবসায়ী মেসার্স জামান ট্রেডার্স এর মলিক কামারুজ্জামান বলেন, মিল গেট থেকেই দাম বেড়েছে। আমরা বেশি দামে কিনছি। ফলে সরকার নির্ধারিত দামে আমরা বিক্রি করতে পারছি না। বেঁধে দেয়া দামে কোন প্রতিষ্ঠানই চাল দিতে পারে না। তাদের লোকসানের কারণে এটি করতে পারছে না। ফলে আমরাও বিক্রি করতে পারছি না।
[৬] রাজশাহী জেলা বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, বাজারে দাম ঠিকই আছে। তবে কোথাও কোথাও দাম একটিু বেশি রাখা হচ্ছে। আমরা তাদের সচেতন করেছি। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার কোল্ড স্টোরগুলোতে অভিযান পরিচালনা করে ব্যবসায়ীরে সচেতন করা হয়েছে।সম্পাদনা : জেরিন আহমেদ