শিমুল মাহমুদ: [২] দেশব্যাপী গণজাগরণের লক্ষ্যে শুক্রবার সকাল থেকেই রাজধানীর শাহবাগে জড়ো হতে থাকে আন্দোলনকারীরা। পরে বেলা পৌনে ১১টার দিকে ‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ ব্যানারে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু হয়।
[৩] এসময় ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় ধর্ষকদের ঠাঁই নাই’, ‘ধর্ষক লীগের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘এসো ভাই এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন’, ‘প্রীতিলতার বাংলাদেশে, ধর্ষকদের ঠাঁই নাই’, ‘ধর্ষকদের কারখানা, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘পাহাড় কিংবা সমতলে, লড়াই হবে সমানতালে’ স্লোগান দিতে দেখা যায়।
[৪] বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান জানান, প্রথমে শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে গুলিস্থান পৌঁছান তারা। এরপর বাসে করে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া, সেখান থেকে কুমিল্লায় পৌঁছান বিকালে ৫ টায়। কুমিল্লা শহরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষ করে লংমার্চ যায় ফেনীতে।
[৫] শনিবার ফেনী শহরে সমাবেশ শেষে দাগনভুঞা, নোয়াখালীর চৌমুহনী হয়ে যাবে বেগমগঞ্জের একলাসপুর। সেখানে বিকেলে নোয়াখালীর মাইজদীতে সমাবেশের মধ্য দিয়ে লংমার্চ শেষ হবে।
[৬] সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি মাসুদ রানা বলেন, দেশে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় ধর্ষণ অভয়ারণ্য তৈরি হয়েছে। এছাড়া যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে, তা জনগণ কোনভাবেই মেনে নেবে না।
[৭] সিপিবি নারী সেলের সদস্য লুনা নূর বলেন, বিচারহীনতার যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে তার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে লড়াই-সংগ্রামকে সমন্বিত করতে, দেশবাসীর চেতনা ও অবস্থানকে সমন্বিত করতে আমাদের এই আহ্বান ।
[৮] যুব ইউনিয়নের খাঁন আসাদুজ্জামান মাসুম জানান, ছয়টি বাস, একটি পিকআপ ও কয়েকটি ব্যাক্তিগত গাড়িতে প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ এই লংমার্চে অংশ নিয়েছে। পথে সমাবেশ হওয়ায় সেখান থেকেও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ যুক্ত হচ্ছে।
[৯] তিনি আরও বলেন, অন্য সময় আমরা গণ কালেকশনে অর্থ সংগ্রহ করে থাকি। এবার আর সেটির সময় ছিলো না। তাই সংগঠনগুলো নিজস্ব অর্থায়নে এর আয়োজন করেছে। ছাত্র ইউনিয়ন চারটি বাস ভাড়া করেছে, যুব ইউনিয়ন একটি, এছাড়া রেজিস্ট্রেশন ফি করে দেয়া হয়েছিলো। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :