ডেস্ক রিপোর্ট: থাইল্যান্ডে জরুরি অবস্থা ভেঙে লাখো গণতন্ত্রকামী মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। এর আগে রাজধানী ব্যাংককে যেকোনো ধরণের সমাবেশ ঠেকাতে নিষিধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
বিবিসি জানায়, দেশটির রাজপরিবারের শাসনের বিরুদ্ধে তিন মাস ধরে বিক্ষোভ চালিয়ে আসছে থাই জনগণ। এ বিক্ষোভ দমনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে থাই সরকার।
চারজন ব্যক্তি একসঙ্গে জড়ো না হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। কড়াকড়ি আরোপ করা হয় গণমাধ্যমের ওপরও। বিভিন্ন এলাকায় লোকজনের প্রবেশেও সীমাবদ্ধতা আনা হয়।
তবে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা ভেঙে এদিন শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে গণতন্ত্রকামীরা। কয়েক লাখ মানুষের দখলে চলে যায় ব্যাংকের রাস্তা।এমন পরিস্থিতিতে সন্ধ্যায় ছয়টা জারি করা হয় কারফিউ। এরও কয়েক ঘণ্টা পর পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে।
গণতন্ত্রকামীরা থাই রাজা ভাজিরালংকর্নের ক্ষমতা কমানো এবং প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচারর পদত্যাগ চান।পরদিন শুক্রবার বিকাল পাঁচটায় আবারও ফিরে আশার প্রত্যাশায় রাত ১০টায় শান্তিপূর্ণ এ বিক্ষোভ শেষ হয়।বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দমনে অন্তত ২০ জন অ্যাক্টিভিস্টকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের মুক্তির দাবি জানায় বিক্ষোভকারীরা।
শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দেয়া এ বিক্ষোভে ২০ জন অ্যাক্টিভিস্টসহ এ সপ্তাহে অন্তত ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বুধবার থাই রাজার গাড়িবহরকে উদ্দেশ্য করে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল হাজার হাজার মানুষ। বছরের বেশির ভাগ সময় বিদেশে থাকা থাই রাজা এদিন দেশে ফেরেন।
আপনার মতামত লিখুন :