শিরোনাম
◈ আগামী বছরের বইমেলার সময় পরিবর্তন ◈ সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, যা জানালো ভারত ◈ সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: অবসরে বাড়ছে সুযোগ-সুবিধা, কমছে অপেক্ষাকাল ◈ আগামীকাল ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় যমুনা টিভির সাংবাদিকসহ আহত ৫ ◈ ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে: প্রেস সচিব ◈ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ফের গরম হচ্ছে রাজপথ ◈ ফরিদপুরের কুমার নদে ট্রলার-স্প্রিটবোর্ডে প্রকাশ্যে কিশোর গ্যাংয়ের অস্ত্রের মহড়া ◈ ‎ব্রিটিশ ট্যোবাকো কোম্পানির তামাকবাহী ট্রাক থেকে গাঁজাসহ আটক-৩ ◈ ঢাকা-ওয়াশিংটন সামরিক মহড়া, নজর রাখছে ভারত

প্রকাশিত : ১৫ অক্টোবর, ২০২০, ০৪:১০ সকাল
আপডেট : ১৫ অক্টোবর, ২০২০, ০৪:১০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডা. মামুন আল মাহতাব: শহীদুল ইসলাম লালু, বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ বীরপ্রতীক

ডা. মামুন আল মাহতাব: বঙ্গবন্ধুর কোলে যার ছবি, যে কিশোরটিকে দেখছেন তার নাম শহীদুল ইসলাম লালু, বীরপ্রতীক। বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ বীরপ্রতীক, যিনি মাত্র ১৩ বছর বয়সে এই খেতাব পেয়েছেন। কী করেছিলেন লালু? অপারেশন গোপালপুর থানা নামে মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বের ঘটনাটি একান্তই শহীদুল ইসলাম লালুময়। যুদ্ধের উত্তুঙ্গ দিনগুলোতে গ্রুপ কমান্ডার পাহাড়ি তাকে নির্দেশ দেন গোপালপুর থানার হালহকিকত জেনে আসতে, মুক্তিযোদ্ধারা কীভাবে তা দখল করতে পারে। লালু গিয়ে সেখানে তার এক দূর সম্পর্কের তুতো ভাই সিরাজের দেখা পান। সিরাজ পাকিস্তানি সেনাদের দালালি করে, তাকেও একই কাজ করার প্রস্তাব দেয়। লালু রাজি হয়ে যান।

পরের দফা তিনটি গ্রেনেড নিয়ে থানায় হাজিরা দেন তিনি। অল্পবয়স বলে তাকে চেক করা হয় না। মুক্তিযোদ্ধাদের আগেই জানান দিয়ে রেখেছিলেন তার অভিপ্রায়। পুরো পুলিশ স্টেশন একবার চক্কর মেরে এসে, এক বাংকারে প্রথম গ্রেনেড চার্জ করলেন লালু। ভীত ও হতভম্ব পাকিস্তানিরা আন্দাজে গুলি ছুড়তে শুরু করে লক্ষহীন। শুয়ে লালু দ্বিতীয় গ্রেনেডটি ছোড়েন, কিন্তু এটা ফাটে না। এখান থেকে আর বেরুনো হবে না- এই ভয় পেয়ে বসে তাকে। তারপরও তৃতীয় গ্রেনেডটি সশব্দে ফাটে আরেকটি বাংকারে। এদিকে মুক্তিযোদ্ধারাও এগিয়ে এসেছেন। গোলাগুলির এই পর্যায়ে সিরাজ এসে লালুকে একটি অস্ত্র ধরিয়ে দেয়, জিজ্ঞেস করে চালাতে পারে কিনা। লালু তাকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি করেন। এই ঘটনায় কিছু পাকিস্তানী পালায়, কিছু ধরা পড়ে, মারা যায় অনেক। হতাহতের মধ্যে দিয়েও মুক্তিযোদ্ধারা দখল করে নেন গোপালপুর থানা। বলতে গেলে শহীদুল ইসলাম লালুর একক কৃতিত্বে। ফেসবুক থেকে

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়