শিরোনাম
◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ অহেতুক চাপ সৃষ্টি করতে জামায়াতের কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সাত দল ◈ স্ত্রী আসলেই নারী কি না প্রমাণ দেবেন ম্যাখোঁ ◈ আগামী বছরের বইমেলার সময় পরিবর্তন ◈ সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, যা জানালো ভারত ◈ সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: অবসরে বাড়ছে সুযোগ-সুবিধা, কমছে অপেক্ষাকাল ◈ আগামীকাল ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় যমুনা টিভির সাংবাদিকসহ আহত ৫

প্রকাশিত : ১৫ অক্টোবর, ২০২০, ০১:৫৮ রাত
আপডেট : ১৫ অক্টোবর, ২০২০, ০১:৫৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফরিদপুরের পান্না ব্যাটারির বিরুদ্ধে ৬২ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকির মামলা

সুজন কৈরী: ফরিদপুরের পান্না ব্যাটারি ফ্যাক্টরির বিরুদ্ধে প্রকৃত বিক্রয়ের তথ্য গোপন করার অভিযোগে ৬২ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ। বুধবার পান্না ব্যাটারির বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়। যা নিষ্পত্তি করবে যশোরের ভ্যাট কমিশনারেট।

ভ্যাট গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিষ্ঠানটি ব্যাটারি তৈরির মূল উপাদান হার্ড লিড তৈরি করে। এরপর তারা তা ব্যাটারি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে। গোপন তথ্যে গত ১২ আগস্ট ভ্যাট গোয়েন্দার সহকারী পরিচালক সালাউদ্দিন রিপনের নেতৃত্বে একটি দল ফরিদপুরের এই ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালায়। অভিযানকালে গোয়েন্দারা প্রতিষ্ঠানটির বাণিজ্যিক দলিলাদি জব্দ করেন এবং মাসিক ভ্যাট রিটার্নের সাথে সেগুলো যাচাই করেন। এতে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ২০১৮ সালে ৩৯৮টি ভ্যাট চালান ইস্যু না করে পণ্য সরবরাহ করেছে। ফরিদপুর ভ্যাট সার্কেলে রক্ষিত রিটার্নের সঙ্গে এগুলোর কোনো কপি পাওয়া যায়নি।

পান্না ব্যাটারির বাণিজ্যিক দলিলে পাওয়া এসব এন্ট্রি ভ্যাট রিটার্নে গোপন করেছিল। এর মাধ্যমে তারা গোপনে কারখানা থেকে ২৭ লাখ ৭২ হাজার ২ কেজি হার্ড লিড সরবরাহ করে। তাদের মূল্য ঘোষণা অনুযায়ী প্রতি কেজি হার্ড লিডের মূল্য সাড়ে ১০ টাকা। এতে ভ্যাট ফাঁকির পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৩ লাখ ৬৬ হাজার টাকা।

ভ্যাট আইন অনুযায়ী সময়মতো ভ্যাট না দেয়ায় ২ শতাংশ হারে সুদ আদায়যোগ্য ১৮ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। এভাবে পান্না ব্যাটারির সর্বমোট ভ্যাট ফাঁকির পরিমাণ দাঁড়ায় ৬২ লাখ টাকা। একই সঙ্গে ন্যায় নির্নয়ন (বিচার) প্রক্রিয়ায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে আরও ব্যক্তিগত জরিমানা আরোপ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়