শিরোনাম
◈ গণতন্ত্র রক্ষায় আজীবন সংগ্রামী ছিলেন খালেদা জিয়া—তৌহিদ হোসেন ◈ গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অনন্য অনুপ্রেরণা ছিলেন খালেদা জিয়া—ড. কামাল ◈ খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের স্পিকার ◈ ছাত্রদলকর্মীকে ডেকে নিয়ে হত্যা ◈ শোকবইয়ে স্বাক্ষর কূটনীতিক ও রাজনৈতিক নেতাদের, সবার আগে চীনের রাষ্ট্রদূত ◈ খালেদা জিয়ার আমলের অর্থনৈতিক সংস্কার: যেসব কারণে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন তিনি ◈ দিল্লিতে দাঁড়িয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখের ওপর যে জবাব দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া ◈ খালেদা জিয়ার মৃত্যু: দুদিন স্থগিত ৪৬তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা ◈ ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাসহ আরও ৯ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছেন বিএনপি ◈ খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

প্রকাশিত : ১৪ অক্টোবর, ২০২০, ০৭:২৪ সকাল
আপডেট : ১৪ অক্টোবর, ২০২০, ০৭:২৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমি দুশ্চরিত্রা হলে নুরের সহযোগীরা কি চরিত্রবান? নূর কে প্রশ্ন ঢাবির সেই ছাত্রীর

ডেস্ক রিপোর্ট : ফেসবুক লাইভে দেয়া ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বক্তব্যকে দায়িত্বজ্ঞানহীন, মনগড়া ও বানোয়াট বলে মন্তব্য করেছেন নুর ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ছাত্রী।

গত ৮ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টা থেকে ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক (সাময়িক অব্যাহতিপ্রাপ্ত) হাসান আল মামুনসহ আরও ছয়জনকে গ্রেফতারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনে বসেছেন ঢাবির ইসলামি স্টাডিজ বিভাগের ওই ছাত্রী।

মঙ্গলবার সেখানে ‘ফাতেমার পাশে আমরা’ ব্যানারে এক সংহতি সমাবেশের আয়োজন করে আয়োজন করে যৌন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থী জোট, সুচিন্তা ফাউন্ডেশন, পূর্ণিমা রানী ফাউন্ডেশন এবং ঐক্য একাত্তর।

সমাবেশে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ‘নুর ফেসবুক লাইভে আমাকে নিয়ে যে কথা বলেছেন তা ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে তার মুখে মানায় না। এ কথার মাধ্যমে তিনি এক রকম ধর্ষণের বৈধতা দিচ্ছেন। নুর যা বলেছেন সব বানোয়াট ও মনগড়া। ’

ওই ঢাবি ছাত্রী প্রশ্ন ছুড়েন, ‘নুরের কথার প্রেক্ষিতে যদি ধরেও নেই আমি দুশ্চরিত্রা, তাহলে তার সহযোগী সোহাগ বা মামুন কী? তারা কি চরিত্রবান?’

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ।

প্রসঙ্গত, গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন - ছাত্র অধিকার পরিষদের (সাময়িক অব্যাহতিপ্রাপ্ত) আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, নাজমুল হাসান, নুরুল হক নুর, মো. সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা ও আবদুল্লাহ হিল বাকি। মামলায় নুরকে করা হয় তিন নম্বর আসামি।

মামলার পরদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার দিকে নুরকে আটক করে পুলিশ। পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসা শেষে রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ তার ৬ সহযোগীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অপহরণ, ধর্ষণে সহযোগিতা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চরিত্রহননের অভিযোগে শহবাগ থানায় সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগে আরও একটি মামলা দায়ের করেন ওই ঢাবি ছাত্রী।

এরপর গত ৮ অক্টোবর নুরুল হক নুর ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে অনশনে বসেন ওই ঢাবি ছাত্রী। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দেন তিনি।
সূত্র- যুগান্তর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়