শরীফ শাওন: [২] জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজগুলোতে অনার্স চতুর্থ বর্ষের নিয়মিত এবং অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা সোয়া দুই লাখ। মার্চে পরীক্ষা শুরু হলেও কোভিড মহামারিতে তা বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ ৭ মাসে পরীক্ষার বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় সার্টিফিকেট ও চাকরির বয়স নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা।
[৩] জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড. হারুন অর রশিদ বলেন, খন্ডিত পরীক্ষার উপর ফলাফল দেয়ার দাবি ভিত্তিহীন। যখন সবাই জানবে শিক্ষার্থীরা এভাবে পাশ করেছে, তাদের চাকরি বা উচ্চশিক্ষায় জাটিলতা তৈরি হবে।
[৪] তিনি বলেন, বাকি পরীক্ষাগুলো নেয়ার সর্বোচ্চ প্রস্তুতি আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দ্রুত পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশের ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও ১ হাজার ৫০০ শিক্ষকের সংশ্লিষ্টতায় সাড়ে ১৭ হাজার অনলাইন ক্লাস নেয়ার ব্যবস্থা করেছি।
[৫] উপাচার্য বলেন, ডিসেম্বর বা নুন্যতম যৌক্তিক সময় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে। পরবর্তীতে আমরা বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে চিন্তা করবো।
[৬] স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অধ্যাপক কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা তুলনামুলক কম, পরীক্ষাও বেশি বাকি নেই। পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইনে পরীক্ষা নিচ্ছে। ১৫৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রায় ১০০টিতে অনলাইন শিক্ষা পুরোপুরি কার্যকর। ইউজিসি অনলাইনে শিক্ষার অনুমোদন দিয়েছে।
[৭] তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে পরীক্ষা নিতে পারে। পরীক্ষার সময় ও নম্বর কমিয়ে সৃজনশীল পদ্ধতিতে প্রশ্ন করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে নকল করার সুযোগও থাকবে না।
[৮] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান বলেন, আমরা অনলাইনে পরীক্ষা নিচ্ছি, ইউজিসিকে জানানো হয়েছে এবং সংশ্লিষ্টদের থেকে অনুমতি নেয়া হয়েছে। কোর্স ক্রেডিট সিস্টেম থাকায় একজন শিক্ষকের অধীনে সর্বোচ্চ ৫০ জন শিক্ষার্থী থাকে। ফলে শিক্ষক চাইলেই সহজে পরীক্ষা নিতে পারেন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ সিস্টেম চালু থাকায় সেশনজটের সুযোগ নেই।
আপনার মতামত লিখুন :