কামরুল হাসান মামুন: প্রিয় প্রধানমন্ত্রী সমীপে
কামরুল হাসান মামুন: ‘১০ হাজার টাকা নিয়ে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে আসো, আমাকে বাঁচাও’ বলে পরিবারের সদস্যের কাছে আকুতি জানিয়েছিলেন । কিন্তু টাকা এনেও রায়হানকে বাঁচাতে পারেননি স্বজনরা। এই মৃত্যুপুরীতে একটি তরতাজা মানুষের প্রাণ এত সস্তা?
প্রিয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি না বলেন স্বজন হারানোর কষ্ট বুঝেন? এত এত মানুষ যারা গুম খুন হত্যার শিকার হচ্ছে তাদের স্বজনদের দুঃখ কষ্ট বোঝার চেষ্টা করুন। এরাও মানুষ! এদেরও স্বজন আছে।
দেশের জনগণকে বিশ্বাস করে একটা নির্ভেজাল নির্বাচন দেন। তাতে ক্ষমতায় আপনারই আসার কথা কারণ বিরোধীদল প্রায় নিশ্চিহ্ন। তাতে অন্তত আমলা, পুলিশ, আর্মি আর বিদেশের উপর নির্ভর করতে হতো না। এই নির্ভরশীলতা দেশটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। জনগণের উপর নির্ভর করলে দেশটা অন্যরকম হতো।
আমি ক্লাসে পার্কোলেশন পড়াই এবং গবেষণা করি। এই মুহূর্তে এর উপর একটি গবেষণা পেপার লিখছি। আমি জানি। এই কষ্টের পরিমান একটি থ্রেশহোল্ড পার হলে বিস্ফোরণ ঘটে যাবে। ছাইয়ের নিচে কিন্তু আগুন জমছে। টের পাচ্ছেন না হয়ত। ফেসবুক থেকে