আশরাফ আহমেদ: [২] কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পাশাপাশি কাঁচা বাজারে সবজির দাম দ্বিগুন বেড়ে যাওয়ায় হতাশায় ভুগছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। করোনা ভাইরাসের অজুহাতে বাড়তি দামের কারণে কর্মহীন শ্রমজীবী মানুষগুলো আরো বেশি অসহায় হয়ে পড়েছে।
[৩] সোমবার (১২ অষ্টোবর) সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও সবজির দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ৩০-৫০ টাকা।গত কিছু দিন যাবত হোসেনপুর পৌর শহরের বাজার, হাজীপুর, রামপুর,আশুতিয়া এবং ঠাডাকান্দা বাজার সহ কয়েকটি কাঁচা বাজার ঘুরে এমনটা দেখা গেছে।
[৪] করলা এখন ৮০ /৯০ টাকা কাঁকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কচুর মূঁখী ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০টাকা, চাল কুমড়া ৫০টাকা কেজি, পটল ৬০টাকা,৩০ টাকার শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, বেগুন ৮০ টাকা, আলু ৫০ টাকা এবং লেবুর হালি ৩০/৪০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাঁচা মরিচ বিক্রিতে সর্বোচ্চ রেকর্ড ছাড়িয়েছে ২৪০ টাকা কেজি।
[৫] সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়লেও যথাযথ মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় কাচাঁ বাজার নিয়ন্ত্রণকারী ও অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এসময় তারা আরো জানান, এমনিতে করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষের দিন কাটছে অনেক কষ্টে। তার উপর দ্রব্যমূল্য ও কাঁচা সবজির দাম অসহনীয় থাকায় যেন মরার উপর খাড়ার ঘা।
[৬] সবজির দাম এক লাফে দ্বিগুন বাড়ার কারন জানতে চাইলে কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা জানান, আগে হোসেনপুর উপজেলার আশেপাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি পাইকারী কিনে বিক্রি করায় এলাকার চাহিদা অনেকটা পূরণ হত । এখন উৎপাদন কম হওয়াতে ওই সব এলাকা থেকে বর্তমানে কোন কাঁচামাল আসছে না।
[৭] যার ফলে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এ কারণে বিক্রিও করতে হয় বেশি দামে।দেশের বিভিন্ন স্থানে সবধরনের সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে সে কারনে আমাদের বেশী দামে কিনতে হয়। তাই সবজি কিছুটা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
[৮] করোনা ভাইরাসের কারনে পণ্য পরিবহণ খরচসহ অন্যান্য খাতেও ব্যয় বেড়েছে। তাই সব পণ্যেরই দাম কিছুটা বেড়েছে।এদিকে বাজার করতে আসা সাধারন মানুষ বলেন, এভাবে কাঁচাবাজারের দাম বৃদ্ধি পেলে খেটে খাওয়া দিন মজুর সহ নিম্ন আয়ের মানুষের সবজির বদলে শুধু নুন এবং পানি দিয়ে ভাত খেয়ে বেঁচে থাকতে হবে। সম্পাদনা: সাদেক আলী