শাহ আলী ফরহাদ : হিপোক্রিসির ছড়াছড়ির কারণে আমাদের কোনো সামাজিক আন্দোলনই সফল হবে না। ধর্ষণের বিচার চেয়ে একটা অসহায় মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একলা একলা আন্দোলন করে যাচ্ছে। কিন্তু তার পাশে দাঁড়াচ্ছে না কোনো তথাকথিত ধর্ষণ বিরোধী ‘আন্দোলনকারী’। কারণ মেয়েটির অভিযোগের তীর যাদের দিকে তারা সরকারবিরোধী হিসেবে পরিচিত। ওই মেয়ের অভিযুক্ত ধর্ষকরা আবার ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনেও শরিক। আরেক বাম মুখপাত্র, যে কিনা ফেসবুকে মেয়েদেরকে অশ্লীল ছবি পাঠিয়ে ধরা খেয়েছিলো, তাকেও শাহবাগে দেখা যাচ্ছে বড় বড় নীতিকথা বলতে, সরকারকে ধমক দিতে।
হুজুররা ধর্ষণ বিরোধী সমাবেশ করে সরকারকে আল্টিমেটাম দেয়, দাবি করে ছাত্রলীগ, যুবলীগকে বিলুপ্ত করার। কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষকদের হাতে কোমলমতি শিশুদের মহামারি আকারে ধর্ষণের ব্যাপারে তারা নিশ্চুপ। আওয়ামী লীগ সরকারের গদিতে টান মারতে না পারলে তা আবার কীসের আন্দোলন, ঠিক না? অন্তত আওয়ামী লীগ তার নাম ব্যবহার করে কেউ অপকর্ম করলে তাকে ছাড় দেয় না। আমার দলের কেউ অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার থাকে আমার সহকর্মীরাই। আপনারা কী করলেন শুনি? ফেসবুক থেকে