সিরাজুল ইসলাম: [২] রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে শুক্রবার ১০ ঘণ্টার আলোচনায় অস্ত্রবিরতি চুক্তি করে প্রতিবেশী দেশ দুইটি। মানবিক কারণে তারা এ চুক্তিতে রাজি হয় বলে জানানো হয়। একইসঙ্গে বন্দি বিনিময় করার কথাও বলা হয়েছে। আলজাজিরা
[৩] আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযোগ করে, শনিবার দুপুরে অস্ত্রবিরতি চুক্তি হওয়ার পরও আজরেয়ি বাহিনী তাদের ভূখন্ডে গোলা নিক্ষেপ করেছে। হামলা বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি ও গাড়ি তারা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। নাগরনো-কারাবাখ বলেছে, অস্ত্রবিরতি চুক্তি হওয়ার পাঁচ মিনিটের মাথায় তাদের লক্ষ্যবস্তু করে বিপুল গোলা ছুঁড়েছে আজেরিয় বাহিনী। তবে তারা হতাহতের খবর দেয়নি। এএফপি
[৪] আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, আর্মেনিয় বাহিনী তাদের গেরানবয়, তেরতের, আগদম, আগজাবেরদি ও ফিজুলি ডিষ্ট্রিক্টে কামানের গোলা নিক্ষেপ করেছে। এতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাদের বাহিনী কেবল শত্রুদের হামলার জবাব দিয়েছে। ডেইলি সাবাহ
[৫] আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ বলেন, শান্তির সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি। এ জন্য রাজনীতিক সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।
[৬] আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা করে কার্নেজি এন্ডোমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিচ এর রাশিয়া ও ইউরেশিয়া প্রোগ্রামের সিনিয়র ফেলো পল স্ট্রনস্কি বলেন, রাশিয়ার জন্য নাগরনো-কারাবাখ জটিল বিষয়। সিরিয়া ও লিবিয়ায় তুরস্কের সঙ্গে লড়াই শুরু করেছিলো রাশিয়া। আলজাজিরা
[৭] মুসলিম প্রধান দেশ আজারবাইজানকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে প্রতিবেশী তুরস্ক। আবার ইরানও আজারবাইজানকে সমর্থন দিয়ে বলেছে, আর্মেনিয়াকে আজারবাইজানের ভূখন্ড থেকে চলে যেতে হবে। ইরান রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র। রয়টার্স
[৮] নাগরনো-কারাবাখ আজারবাইজানের ভূখন্ড হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। আর্মেনিয়ার সহায়তা নিয়ে অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করে জাতিগত আর্মেনিয়রা। তারা নিজেদের স্বাধীন দাবি করলেও কোন দেশের স্বীকৃতি পায়নি।
[৮] ওই অঞ্চলে ১৯৯০ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত সংঘর্ষে ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়। ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয় ১০ লাখের বেশি আজেরিয়। বিবিসি
আপনার মতামত লিখুন :