মোজাম্মেল হোসেন ত্বোহা: দেশজুড়ে অনেকগুলো মিছিল, জনসমাবেশ দেখতে সুন্দর লাগছে। সব ধরনের মানুষকেই দেখছি। দাড়ি, টুপিওয়ালা হুজুররাও আছে, প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া আধুনিকরাও আছে, সুবিধাবাদী শিল্পী, অভিনেতা, অভিনেত্রীরাও আছে। সমস্যা দেখি না। সবাই থাকুক, সবাই রাস্তায় নামুক। এই দেশ কারো একার না। ছোটখাটো বিষয়ে ভিন্নমত থাকলেও সেটা এখন আলোচনার সময় না। অমুকরা নেমেছে কেন, তমুকরা হ্যান করেছে কেন, তাহলে আমি নেই, এগুলো এখন বলার সময় না। এরকম সার্বজনীন দাবিতে সবাই নামলে সেখানে এ ধরনের মতপার্থ্যককে মেনে নিতে হবে। আর এরকম সময় ফেসবুকের অতিবিপ্লবী, প্রবাসী, ছবিবিহীন, ফেক আইডিগুলো, যারা গণঅভ্যুত্থান ছাড়া কিছু বোঝে না, তাদের কাছ থেকে দূরে থাকবেন। অন্য সময় এদের অ্যাক্টিভিটি, লেখালেখি উপকারী।
কিন্তু এই জাতীয় আন্দোলনের সময় এরা ক্ষতিকর। এদের থিওরী আন্দোলন কেবল সরকার পতনের জন্যই হতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের জন্যই হতে হবে। সেটা না হলে বাকি সব আন্দোলন ভুয়া। বাকি সব আন্দোলন নিয়ে এরা ব্যঙ্গ ও বিদ্রুপ করবে। কিন্তু বাস্তবতা এতো সাদাকালো না। মূল সঙ্কট অবশ্যই জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে থাকা স্বৈরতন্ত্র। কিন্তু আপনি যদি শুধু গণঅভ্যুত্থানের আশায় বসে থাকেন, সেটা হয়তো আগামী ২০ বছরেও আসবে না। ততোদিন আপনার নারী আত্মীয়-স্বজনরা ধর্ষণের শিকার হতে থাকবে। আন্দোলন যদি মোমেন্টাম পায়, গণঅভ্যুত্থানে যায়, সেটা বাড়তি পাওনা, কিন্তু যদি নাও যায়। যদি কিছু অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকার বাধ্য হয়, সেটাও শূন্য অর্জন না। সেরকম হলেও পরবর্তী সময়ে কয়েকজনের সম্ভ্রম রক্ষা পেতে পারে। ফেসবুক থেকে