ইমদাদুল হক: [২] আশুলিয়ায় ৩ শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে উঠে। আশুলিয়া থানা পুলিক ৯৯৯ অভিযোগ কেন্দ্রের তথ্যর ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ির মালিক হেলাল উদ্দিন শেখ (৫৭) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় নির্যাতিত ওই ৩ শিশু থানা হেফাজতে রয়েছে।
[৩] শুক্রবার (৯ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক জয়ন্ত কুমার সাহা। এর আগে গত ৬ অক্টোবর আশুলিয়ার উত্তর মোল্লাপাড়া এলাকায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
[৪] গ্রেপ্তার ধর্ষক হেলাল উদ্দিন শেখ ময়মনসিংহ জেলার গফরগাও থানা ছয়ানী রসুলপুর গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে আশুলিয়ার তৈয়বপুরে বাড়ি তৈরি করে বসবাস করে আসছে।
[৫] ভুক্তভোগী পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ৯ বছরের যমজ সন্তান নিয়ে ওই এলাকায় বসবাস করছিলেন পোশাক শ্রমিক বাবা-মা। তারা কাজে গেলে সুযোগ বুঝে বাড়িওয়ালা হেলাল উদ্দিন দোকান থেকে মজা কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে জমজ দুই বোনসহ পার্শ্ববর্তী আরো এক শিশুকে তার ঘরে ডেকে নেয়। শিশুর বাবা মা কাজ থেকে বাসায় ফিরে এলে তারা কান্নাকাটি শুরু করে ও তাদের কাছে ঘটনা খুলে বলে ভুক্তভোগী শিশুরা। পরে বাড়িওয়ালা হেলাল উদ্দিন বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে স্থানীয়ভাবে।
[৬] এ ঘটনার দুই দিন অতিবাহিত হলে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্য বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলতে থাকে। এসময় কোনো এক সচেতন এলাকাবাসী ৯৯৯ এ ফোন করে ঘটনা খুলে বলে। পরে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক জয়ন্ত কুমার অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্ত বাড়িওয়ালাকে গ্রেপ্তার করে।
[৭] আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক জয়ন্ত কুমার জানান, গত ৬ অক্টোবর এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। তবে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। পরে ৯৯৯ এর কল পাওয়া মাত্র অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[৮] এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
[৯] এদিকে, সাভারে ১২ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের মামলায় বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে মেয়ের মা বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। সম্পাদনা: হ্যাপি