শরীফ শাওন: [২] আইন ও শালিস কেন্দ্রের সিনিয়র ডিপুটি ডিরেক্টর মীনা গোষ্যামী বলেন, ২০১৯ সাল থেকে ধর্ষণের ঘটনা বিপুল হারে বেড়েছে। গত বছর ১ হাজার ৪০০টির বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। চলতি বছর ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯৭৫টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষণ ও ভয়ংকরতার মহোৎসব চলছে।
[৩] মীনা গোষ্যামী বলেন, বিচারহীনতা, দীর্ঘসূত্রা, নিন্ম আদালতের রায় উচ্চ আদালতে পেন্ডিং অবস্থায় থাকা ও রায় হলেও বাস্তবায়নে ধীরগতি, ধর্ষণ বাড়ার অন্যতম কারণ।
[৪] তিনি বলেন, অপরাধীদের ডাটা বিশ্লেষণে দেখা যায়, তারা কোনো না কোনো ভাবে ক্ষমতায়িত হয়। অর্থ, রাজনৈতিকভাবে পুষ্ট বা প্রভাবশালী আত্মীয় থাকার কারণে পার পেয়ে যায়।
[৫] আইন সহায়তা কেন্দ্রের চীফ কো অর্ডিনেটর ফিরোজা নাজনীন বলেন, আমার কর্মময় জীবনে এমন ভয়াবহ ও বিভৎস ধর্ষণের ঘটনা আগে দেখিনি। পুরুষ শাষিত সমাজ, মেয়েদের সাবধানতা অবলম্বন থেকে পিছিয়ে থাকা ও অসচেতনতার কারণেও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে থাকে।
[৬] ফিরোজা বলেন, ধর্ষকদের জামিন না দিয়ে জেলে রেখে শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। ক্ষমতার হস্তক্ষেপে তারা জামিনে আসে এবং পরবর্তীতে অনেক মামলা খারিজ হয়ে যায়।
[৭] আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন নির্বাহী পরিচালক উজ্জল হোসেন মুরাদ বলেন, ইউটিউব, ফেসবুক, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুফলে জোরালো প্রতিবাদগ গড়ে উঠছে। ধর্ষণ প্রতিরোধে স্থানীয় জনসাধারণ ও প্রশাসনের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ প্রশিক্ষণ, সাধারণ সভা ও গণশুনানির আয়োজন করতে হবে, প্রশাসনকে কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে।