সুজন কৈরী : [২] বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি’র পরিচালক (অপারেসনস) লে. কর্নেল ফয়জুর রহমান চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮ মাসের কর্মকাণ্ডের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, এই সময়ে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে ৫ লাখের বেশি অভিযান চালিয়ে ৩৭২ কোটি ৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে। জব্দ মাদকের মধ্যে রয়েছে- ৬৭ লাখ ৫৮ হাজার ৬১ পিস ইয়াবা, ৩ লাখ ১ হাজার ৮৩০ বোতল ফেন্সিডিল, ৫০ হাজার ৭৯০ বোতল বিদেশী মদ, ৫ হাজার ৯৫৮ ক্যান বিয়ার, ৮ হাজার ৮৯৭ কেজি ৯২৬ গ্রাম গাঁজা, ১৪ কেজি ৩২ গ্রাম হেরোইন, ৩০ হাজার ৫৯৭টি উত্তেজক ইনজেকশন, ৪৬ হাজার ২১৯টি এ্যানেগ্রা, সেনেগ্রা ট্যাবলেট এবং ১৭ লাখ ৬৩ হাজার ৮৪৫টি অন্যান্য ট্যাবলেট।
[৩] জব্দ অন্যান্য চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- ৩৭ কেজি ১৪১ গ্রাম স্বর্ণ, ২০২ কেজি ৩৭১ গ্রাম রূপা, ৫ হাজার ৮১১টি ইমিটেশনের গহনা, ৬ লাখ ৪ হাজার ২৯টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ১২ হাজার ৬০০টি শাড়ি, ৮ হাজার ৭৭টি থ্রিপিস, শার্টপিস, ৩ হাজার ৪৭৫টি তৈরী পোশাক, ৬২২ মিটার থান কাপড়, ৮ লাখ ৮৪ হাজার ৯৫১ ঘনফুট কাঠ, ৩৮ লাখ ১২ হাজার কেজি চা পাতা, ১ লাখ ১৭ হাজার ১৭৫ কেজি কয়লা, ৩২টি ট্রাক, ১৮টি প্রাইভেটকার, ২৭টি পিকআপ, ১৫১টি সিএনজি, ইঞ্জিন চালিত অটোরিকশা এবং ৫৬১টি মোটর সাইকেল।
[৪] এই সময়ে ২২টি পিস্তল, ১টি রিভলবার, ৪৫টি সকল প্রকার গান, ২৭টি ম্যাগাজিন, ১ হাজার ৯৭ রাউন্ড গুলি, ৮০০ গ্রাম গান পাউডার এবং ৪টি আইইডি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ হাজার ৬৩ জন চোরাকারবারীকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৩৪৪ জন বাংলাদেশী নাগরিক ও ৯৬ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
[৫] পার্বত্য সীমান্ত এলাকায় ৮১৫ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩১৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মণ কাজ বাস্তবায়নাধীন। এছাড়াও ৭৩টি আধুনিক কম্পোজিট বিপি নির্মাণের অনুমোদন মিলেছে। বিজিবি ‘আলােকিত সীমান্ত প্রকল্প’র মাধ্যমে সীমান্তবর্তী কর্মহীন ও অসহায় মানুষের মাঝে ভ্যান গাড়ি, সেলাই মেশিন, গবাদি পশু, টি-স্টল বিতরণ করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। পাশাপাশি বিজিবির ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন সাহায্যকারী সংস্থার সহায়তায় এ পর্যন্ত সীমান্তবর্তী ২৮টি জেলার প্রায় এক লাখ ২০ হাজার গরিব, দুস্থ, অসহায় ও হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।