ইসমাঈল ইমু: [৩] বিজিবির পরিচালক (অপারেশন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান বলেন, সীমান্তে মোট ১০ হাজার ২৪০টি পিলার ছিল, যেগুলো অনেক আগের। এগুলোতে ‘পাক’ অথবা ‘পাকিস্তান’ লেখা ছিল। সীমান্তে দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যরা এগুলোকে ‘বিডি’ বা ‘বাংলাদেশ’-এ কনভার্ট করার বিষয়টি আমাদের বিবেচনা করতে বলেন। পরে মহাপরিচালক প্রক্রিয়া অনুযায়ী এগুলো বদলের সিদ্ধান্ত নেন। বিজিবি সদস্যরা নিজেদের ঘাড়ে সিমেন্ট-বালু নিয়ে নিজেদের পরিশ্রমে সীমান্তে সব পিলারে এ লেখা বসিয়েছেন।
[৪] তিনি জানান, বিজিবি পার্বত্য সীমান্ত এলাকায় ৮১৫ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বর্তমানে ৩১৭ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক নির্মাণকাজ বাস্তবায়নাধীন। এছাড়া ৭৩টি আধুনিক কম্পোজিট বিপি নির্মাণের অনুমােদন গ্রহণ করা হয়েছে। বিজিবি ‘আলোকিত সীমান্ত প্রকল্প’র মাধ্যমে সীমান্তবর্তী কর্মহীন ও অসহায় মানুষের মাঝে ভ্যান গাড়ি, সেলাই মেশিন, গবাদি পশু, টি-স্টল বিতরণ করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। পাশাপাশি বিজিবির ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন সাহায্যকারী সংস্থার সহায়তায় এ পর্যন্ত সীমান্তবর্তী ২৮টি জেলার প্রায় এক লাখ ২০ হাজার গরিব, দুস্থ, অসহায় ও হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
[৫] গত কয়েক বছরে বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বা ‘ক্রসফায়ারে’ অনেক মাদক কারবারি নিহত হয়েছে। দুই মাস ধরে ‘বন্দুকযুদ্ধ’র ঘটনা ঘটছে না। পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহত হওয়ার ঘটনার প্রভাবে এমনটি হচ্ছে কি-না এক সাংবাদিকের এ প্রশ্নের উত্তরে বিবিজি পরিচালক বলেন, বিজিবি কেন, কোনো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীই ‘বন্দুকযুদ্ধ’র ঘটনা ঘটাতে চায় না। আমাদের একমাত্র টার্গেট থাকে অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা। গ্রেপ্তারের সময় অনেক অপরাধী আমাদের আক্রমণ করে, গুলি ছোড়ে, তখন আত্মরক্ষার্থে এবং সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে এমন স্টেপ নেয়।
[৬] সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত আট মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঁচ লক্ষাধিক অভিযান পরিচালনা করে মােট ৩৭২ কোটি ৩৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে বিজিবি। জব্দকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে ৬৭ লাখ ৫৮ হাজার ৬১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, তিন লাখ এক হাজার ৮৩০ বােতল ফেনসিডিলসহ নানা মাদক।
আপনার মতামত লিখুন :