তরিকুল ইসলাম: [২] বাংলাদেশের অনুরোধের পর ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ও সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে সম্প্রতি মিয়ানমার সফরে গিয়ে হাই প্রোফাইল বৈঠকে এই প্রস্তাব দিয়েছেন।
[৩] মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি এবং সে দেশের সেনাবাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ অং মিন লেইং’র সঙ্গে বৈঠকে মিয়ানমার যেন নভেম্বরের আগেই অন্তত কিছু রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেয় এ বিষয়ে ভারত যুক্তি দেখিয়ে বলেছে, এতে করে আন্তর্জাতিক বিশ্বকেও ইতিবাচক একটা বার্তা দেয়া যাবে।
[৪] ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধ শ্রিংলা বলেছেন, রাখাইন স্টেট ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের অধীনে সেখানে রোহিঙ্গাদের জন্য আবাসন ও স্কুল বানিয়ে দিয়েছে ভারত। যদিও সেগুলো খালি পড়ে আছে। মিয়ানমারের উচিত হবে পর্যায়ক্রমে রোহিঙ্গাদের সেখানে ফিরতে সাহায্য করা।
[৫] তাদের ঐ সফরে ভারতের একটি স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার গড়ে তোলাসহ তৃতীয় ধাপের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে এবং রাখাইনে কৃষি পদ্ধতির আধুনিকীকরণে একটি সমঝোতাও স্বাক্ষরিত হয়েছে। যদিও ঐ বৈঠকে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দ ব্যবহার করা হয়নি, তার বদলে যথারীতি বলা হয়েছে ‘রাখাইন থেকে আশ্রয়চ্যুত মানুষজন’।
[৬] সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মাদ শহীদুল হক বলছেন, ভারত যদি এমন উদ্যোগ নেয় সেটা অবশ্যই ভালো। এখন দেখার বিষয় যে, মিয়ানমার আসলে কতটা আন্তরিক।
[৭] মিয়ানমার তার বক্তব্যে বলেছে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করছে এবং এটি বজায় রাখতে চায়।
[৮] কিন্তু তারা ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়ে অনেকবার সীমানা লঙ্ঘন করে বাংলাদেশকে সামরিকভাবে প্ররোচিত করার চেষ্টা চালিয়েছে। প্রত্যাবাসন সম্পর্কিত কোনও পদক্ষেপ না নিয়ে তারা বলছে, বাংলাদেশের মধ্যে থেকে কেউ কেউ রোহিঙ্গাদের যেতে বাধা দিচ্ছে। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :