রাশিদুল ইসলাম : [২] সমীক্ষা বলছে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে রোমানিয়ায় নারী-পুরুষের বেতন বৈষম্য সবচেয়ে কম এবং তা হচ্ছে ৩ শতাংশ। এই পার্থক্য পূরণ করতে ফ্রান্সের সহ্রস্রাধিক বছর লেগে যাবে। গবেষকরা বলছেন ২০১৮ সালে ফ্রান্সে এই পার্থক্য ১৫.৬ থেকে হ্রাস পেয়ে ১৫.৫ শতাংশে দাঁড়ায়। ডেইলি মেইল
[৩] জার্মানিতে নারী-পুরুষের এ বেতন বৈষম্য কমতে লাগবে শত বছর। ২০২১ সাল পর্যন্ত জার্মানিতে এ পার্থক্য থাকবে ২০.৯ শতাংশ। তবে আয়ারল্যান্ডে এ পার্থক্য এখনো বাড়ছে এবং আশঙ্কা করা হচ্ছে তা কখনো হ্রাস পাবে না।
[৪] সমীক্ষায় খণ্ডকালীন কাজের বেতনও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ব্রিটেনে গত বছর এ পার্থক্য ছিল ১৭.৩ শতাংশ। পূর্ণমাত্রার কাজে এ পার্থক্য অবশ্য আরো কম। আবার ৪০ বছরের নীচে নারী-পুরুষের মধ্যে বেতন বৈষম্য ব্রিটেনে ৯.৬ শতাংশ।
[৫] ইউরোপের স্বল্পোন্নত দেশে নারীরা নারীরা কম সংখ্যায় কাজ করেন। এবং উচ্চ মর্যাদার কাজের দিকে নারীদের ঝোঁক বেশি থাকে। লুক্সেমবার্গে নারী-পুরুষের বেতন বৈষম্য ৪.৬ ও বেলজিয়ামে এ হার ৬ শতাংশ। এ দুটি দেশে প্রশাসন ও ব্যাংকে নারীদের কাজ মর্যাদার চোখে দেখা হয়। জার্মানি ও ফ্রান্সে উৎপাদনশীল খাত ও বেশি বেতনের চাকরিতে পুরুষরা প্রাধান্য বিস্তার করছেন।
[৬] বেতন বৈষম্য নিয়ে কাজ করছে এমন একটি সংস্থা ফচেট সোসাইটির ধারণা ব্রিটেনে এক্ষেত্রে সার্বিক বৈষম্য দূর হতে আরো ৬০ বছর লাগবে।
আপনার মতামত লিখুন :