মঞ্জুরুল আলম পান্না: প্রথম আলোতে একটা খবর পড়ে চমকে উঠলাম। মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো রপ্তানি করার চেষ্টা চলছে। উন্নয়নের জোয়ারে এদেশে টাকার কী এতোই অভাব হয়ে গেল যে, আমাদের হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতার জন্য সংগঠিত মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চিহ্নগুলোও বিক্রি করতে হবে? কতো টাকা পাওয়া যাবে সংরক্ষিত ওই ২৭/২৮ হাজার অস্ত্র বিক্রি করে? এর যে ঐতিহাসিক মূল্য, তা কী হাজার লক্ষ কোটি টাকার মূল্যে বিবেচনা করা সম্ভব? এর আগে দেখলাম, আন্তর্জাতিক টেনিস টুর্নামেন্টের নামে খুলনার সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গনে পাকি সেনাবাহিনীর একটি টর্চার সেলের চিহ্ন মুছে ফেলা হলো।
ধ্বংস করে ফেলা হলো ঐতিহাসিক হেলিপ্যাডটি। অথচ এই হেলিপ্যাডেই বঙ্গবন্ধু এসে নেমেছেন একাধিকবার। কুষ্টিয়ার শিলাইদহে লাল ইটে তৈরি রবি ঠাকুরের কুঠিবাড়ির সংরক্ষণের নামে তার প্রাচীন আদল নষ্ট করে আধুনিকতার নামে করা হয় সাদা রং। বৃটিশ স্থাপনাগুলো ভেঙে ফেলা হচ্ছে উন্নয়নের নামে। পাহাড়পুর-মহাস্থানগড়ের প্রত্নতাত্বিক অনেক নিদর্শন ধ্বংস করে সেখানে চলে চাষাবাদ। এমন অসংখ্য উদাহরণ তুলে ধরতে গেলে তা লিখে শেষ করা যাবে না। নিজের পরিচয় ধ্বংস করতে এমন উদাসীনতা আর হঠকারীতার দৃষ্টান্ত বিশ্বের আর কোথাও নেই, তা নিঃসন্দেহেই বলা যায়। নিজের জন্ম পরিচয় অস্বীকার বা নষ্ট করে সামনে এগিয়ে যাওয়াটা হলো সবচেয়ে বড় ভণ্ডামী। ফেসবুক থেকে