শরীফ শাওন: [২] ব্রাকের গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সারাদেশে প্রতিদিন ২৪৮ টন চিকিৎসা বর্জ্য উৎপন্ন হয়, যার মাত্র ৩৫ টান সঠিক ব্যবস্থাপনার আওতায় রয়েছে। যা মোট মেডিকেল বর্জ্যরে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ। তবে সঠিক ব্যবস্থাপনায় বর্জ্য অপসারণের অধিকাংশই রাজধানীতে হয়ে থাকে।
[৩] বর্জ্য অপসারণ ও শোধনে একটি মাত্র বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কাজ করে। বর্জ্য আলাদা করার ব্যবস্থাপনা থাকলেও তা বিনষ্ট বা শোধন করার নিজস্ব কোনো ব্যবস্থাপনা নেই স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর।
[৪] গবেষণায় দেখা যায়, কোভিড সুরক্ষা সামগ্রীতেই প্রতিদিন ২৮২ দশমিক ৪৫ টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়, যার পুরোটাই গৃহস্থালি বর্জ্যের সাথে অপসারণ করা হয়। সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করেন ৭১ শতাংশ মানুষ, যার অধিকাংশই শহরে।
[৫] সোমবার ব্রাকের এক ওয়েবিনারে গবেষণার এ ফল প্রকাশ করা হয়। গত ২০ জুলাই থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত গবেষণাটি পরিচালিত হয়।
[৬] পাঁচ হাজার মানুষের অংশগ্রহণে ৭৮ দশমিক ৫ শতাংশ মনে করেন, সামগ্রীর অধিকাংশই একবার ব্যবহারযোগ্য। ৮৩ দশমিক ৭ শতাংশ মনে করেন, অধিকাংশ মানুষ এসব অপসারণে সচেতন। ৮৮ দশমিক ৪ শতাংশ মনে করেন, বাসাবাড়ির বর্জ্যরে সঙ্গে এসব মেশানো উচিত নয়। সঠিক ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন মনে করেন ৯২ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ।
[৭] গবেষণায় অংশ নেন স্বাস্থ্য, জলবায়ু ও পরিবেশ বিষয়ে ২০ জন বিশেষজ্ঞ। তারা মনে করেন, বাসাবাড়ি ও চিকিৎসা কেন্দ্রে কোভিড-১৯ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর ও পরিবেশ অধিদফতর কর্তৃক জারি করা নির্দেশিকা ও গণবিজ্ঞপ্তি দেয়া হলেও তার সঠিক বাস্তবায়ন হয়নি।