শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ০৬ অক্টোবর, ২০২০, ০১:০০ রাত
আপডেট : ০৬ অক্টোবর, ২০২০, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চীনের বৈষম্যমূলক বাণিজ্যের অভিযোগে বেইজিংকে স্বচ্ছতা দেখাতে বলল দিল্লি

রাশিদ রিয়াজ : চীনের বিভিন্ন অ্যাপ ভারতে বন্ধ করার পর এবং দেশটিতে চীনা বিনিয়োগে বাধা সৃষ্টির পর বেইজিং দিল্লির বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ এনেছে। বিশ্বের বাণিজ্য সংস্থার সাম্প্রতিক বৈঠকে চীনের কর্মকর্তারা ভারতের বাজারে স্বচ্ছতা, স্থিতিশীল পরিবেশের নিশ্চয়তা না থাকায় ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া মুস্কিল হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি ভারতে চীনের বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের অভিযোগ তুলে ২৩৪টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। লাদাখে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষের জের বাণিজ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এমনকি চীনা কোম্পানির মাধ্যমে ভারতে যে সব অ্যাপ উন্নয়ন করা হয়েছে সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এরফলে কম্পিউটার ও টেলিযোগাযোগ খাত ও অডিও-ভিজুয়াল সার্ভিসে অনেকে বেকার হয়ে পড়েছে। চীনা বিনিয়োগ ভারতে হোঁচট খেয়েছে। বিশ্ব বাণিজ্য চুক্তি অনুসারে এসব খাত ছাড়াও ভারতের আর্থিক সেবা খাতে এসব বিনিয়োগের নিশ্চয়তা বিনষ্ট হয়ে পড়েছে। ভারতের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রেও টিকটক ও উইচ্যাট অ্যাপ বন্ধ হওয়ায় চীন গভির উদ্বেগ জানিয়েছে।

কিন্তু ভারতের তরফ থেকে বলা হচ্ছে দেশটির নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রে যে গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে তা নিশ্চিত করতেই বিভিন্ন চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করতে হয়েছে। ভারতের কর্মকর্তারা পাল্টা অভিযোগ করছেন চীন হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম নিয়ন্ত্রিত ডিজিটাল অর্থনীতির দেশ। এবং বেইজিংয়ের উচিত সেখানে স্বচ্ছতার নজির সৃষ্টি করা। চীনের সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোকে ভারতীয় বিধি মেনে চলতে হবে। বিদেশি পরিষেবা ব্যবসায় বাজার উদার করতে বেইজিং যে দীর্ঘদিন ধরে সম্পূর্ণ অনীহা দেখিয়ে যাচ্ছে তার অবসান ঘটাতে হবে। ভারত ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমান গত বছর ছিল ৮৭ বিলিয়ন ডলার। তবে দুটি দেশের মধ্যে ৫৩.৫৭ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে চীনের পক্ষে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়