জাহিদ বিন আজিজ: চশমা পরা মেয়েটিকে দেখছেন? যাকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জড়িয়ে ধরে আছেন, সেই কিশোরীই আজ ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি ও ছায়া উপমন্ত্রী টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক, পাশেই মা শেখ রেহানা। মা ও খালার কাছ থেকেই রাজনীতি শেখা। অনুপ্ররেণায় বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার রাজনৈতিক মতাদর্শ। ছবিটি যখন তোলা হয় তখন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের পঞ্চম জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় প্রধান। টিউলিপ সিদ্দিকর বয়স ১২ বছর কয়েক মাস। ৪ বছর পর, মাত্র ১৬ বছর বয়সে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির সদস্য হিসেবে যুক্ত হলেন। ২০১৫ সালে শেখ হাসিনা যখন তৃতীয় মেয়াদকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, টিউলিপ সিদ্দিক তখন ব্রিটেনের ৫৬তম সাধারণ নির্বাচনে হ্যাম্পস্টিড ও কিলবার্ন আসন থেকে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হলেন। এরপর থেকে খালার মতো টানা তৃতীয়বার নির্বাচিত। এ যেন গুরু শিষ্যের জয় জয়কার। আর হবেই বা না কেন। ধমনীতে বঙ্গবন্ধুর রক্ত, যাদের রাজনীতি সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও জনমানুষের কল্যাণে কাজ করা। সৃষ্টিকর্তা সহায় থাকলে দমায় তাদের সাধ্যি কার।
শেখ হাসিনা দুটি শব্দের বিস্ময়কর নাম। নিপুণ দক্ষতায় তিনি সকল প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছেন উন্নয়নের মহা সড়ক দিয়ে। সাথে ছায়াসঙ্গী শেখ রেহানা। দুটি মানুষ হলেও হৃদয় তাদের একটিই। তার পাশে থাকার শক্তিতেই শেখ হাসিনা পার হয় বৈতরণী। বঙ্গবন্ধুর ৫টি হীরের টুকরো নাতি-নাতনি। নিজ নিজ কর্মদক্ষতা বলে বিশ^দরবারে আজ তারা সু-প্রতিষ্ঠিত। একটি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান যারা সবাই উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে শুধু নিজ ক্ষেত্রে নয়, পুরো একটি জাতিকে পূর্বসূরীদের মতো নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রাখছে। বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে শেষ করার ষড়যন্ত্রে প্রায় শতভাগ সফল হয়ে গিয়েছিলো খুনিরা। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেঁচে যান। তারা আছেন বলেই নতুন করে বাঁচতে শিখেছে বাংলাদেশ।
ছবিতে ১৯৯৪ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা, ২৯ মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবনে সঙ্গে বোন শেখ রেহানা, ভাগ্নী টিউলিপ সিদ্দিক। শেখ রেহানার পেছনে দাঁড়িয়ে অভিনেত্রী, আবৃত্তিকার ক্যামেলিয়া মোস্তফা ও অন্যান্যরা। ফেসবুক থেকে