মাহফুজুর রহমান : [২] বোনের সাবেক স্বামী জামিরুলের হাতে লাঞ্চিত হওয়ার পর মায়ের সঙ্গে শেষ কথা ছিল তিন্নীর। এরপর রাত ১২টার দিকে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় উলফাত আরা তিন্নীর।
[৩] মা হালিমা বেগম জানান, বৃহম্পতিবার তিন্নী এক অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরে রাতে ঘুমাতে গিয়ে মেজো মেয়ে মিন্নীর তালাকপ্রাপ্ত স্বামী জামিরুলের কাছে লাঞ্চিত হয়। এসময় বাসার চারপাশে জামিরুলের অনেক সহযোগী এবং তারা বলতে থাকে- কোনও হৈ চৈ করবে না। সবাইকে মেরে ফেলবো।
[৪] পরের ঘটনার বর্ণনায় তিন্নীর মেজো বোন মিন্নী জানান, বোনের চিৎকারে তিনি ছুটে যান তিন্নীর রুমের সামনে। কিন্তু রুম ছিল ভেতর থেকে আটকানো। মিন্নী বলেন, 'অনেক চেষ্টা করে দরজার লক ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখি সেখানে জামিরুল। তখনো তারা ধস্তাধস্তি করছে। এক পর্যায়ে প্রতিবেশীদের উপস্থিতি টের পেয়ে রাত ১১টার দিকে জামিরুল পালিয়ে যায়।
[৫] তিন্নীর স্বজনদের অভিযোগ, তার বোনের সাবেক স্বামী শেখপাড়া গ্রামের কুনুরুদ্দীনের ছেলে জামিরুল ও তার তিন সহযোগী জোর করে তিন্নীদের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। [৬] শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সম্পাদনা: ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :