রাশিদ রিয়াজ : নরওয়ের পার্লামেন্ট আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে কার্বণ দূষণ শূণ্যতে নামিয়ে আনতে বিদ্যুতচালিত গাড়ি ছাড়া জালানিচালিত গাড়ি বিক্রি করা যাবে না। এরপর নরওয়ের নাগরিকরা বিদ্যুতচালিত গাড়ি কিনতে থাকেন। এখন বিশ্বে এধরনের গাড়ির রাজধানী বলা যায় দেশটিকে। বিদ্যুতচালিত গাড়ি কেনার ব্যাপারে নরওয়ের নাগরিকরা বিশ^চ্যাম্পিয়ন। স্পুটনিক
যদিও কোভিড মন্দায় গাড়ি বিক্রিতে ধীরগতি চলছে তবে সেপ্টেম্বরে নরওয়ে বিদ্যুতচালিত গাড়ি বিক্রিতে বিশ^রেকর্ড করে বসল। দেশটির রোড ট্রাফিক ইনফরমেশন কাউন্সিল জানিয়েছে গত মাসেই সবচেয়ে বেশি বিদ্যুতচালিত গাড়ি রেজিষ্ট্রেশন হয়েছে। বিক্রিত ৬১.৫ শতাংশ গাড়িই বিদ্যুতচালিত। এর আগে কখনো এধরনের গাড়ি এত বিক্রি হয়নি দেশটিতে। গত বছর মার্চে নরওয়েতে বিদ্যুতচালিত গাড়ি বিক্রির পরিমান ছিল ৫৮.৪ শতাংশ। গত মার্চে কোভিড প্রাদুর্ভাবের পর মন্দা শুরু হওয়াতে গাড়ি বিক্রি কমে যায় সবদেশেই। নরওয়ের ইলেক্ট্রিক কার এ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল ক্রিস্টিয়ানা বু বলেন এধরনের বিদ্যুতচালিত গাড়ি বিক্রি ঐতিহাসিক। বিদ্যুতচালিত গাড়ি ব্যবহারে নীতি কাজ করছে এবং প্রতি ১০ জন গাড়ি ক্রেতার মধ্যে ৬ জনই বিদ্যুতচালিত গাড়ি কিনছে। এটা ভাল সংবাদ এবং সবাই যাতে বিদ্যুতচালিত গাড়ি কিনতে পারে সে ব্যবস্থাও করছি আমরা।
নরওয়ের বাজারে বিভিন্ন ধরনের মডেলের বিদ্যুতচালিত গাড়ি পাওয়া গেলেও তিনটি মডেল ক্রেতাদের পছন্দে এগিয়ে আছে। এগুলো হচ্ছে ভক্সওয়াগন আইডি থ্রি, টেসলা থ্রি এবং পলেস্টার টু। চতুর্থ স্থানে রয়েছে টয়োটা হাইব্রিড র্যাভ ফোর মডেল। গত সেপ্টেম্বরে ১৫ হাজার ৫৫২টি বিদ্যুতচালিত গাড়ি নতুন রেজিষ্ট্রেশন হয়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এটি ৩৯.৪ শতাংশ বেশি। তবে এবছরের শুরু থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নরওয়েতে নতুন গাড়ি বিক্রি হয়েছে ৯৫ হাজার ৩৫০ জন। যা গত বছরের তুলনায় ১৩.৮ শতাংশ কম। এর কারণ কোভিড মন্দা।
মাথাপিছু হিসেবে নরওয়েতে বিশে^র সবচেয়ে বেশি বিদ্যুতচালিত গাড়ি ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০১৪ সালে নরওয়ে প্রথম দেশ হিসেবে পরিচিতি পায় যেখানে ১’শটির মধ্যে একটি বিদ্যুতচালিত গাড়ি ছিল। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে তা ৫ ও ২০১৮ সালের অক্টোবরে ১০ শতাংশে বৃদ্ধি পায়। নরওয়ের মত সুইডেন ও ডেনমার্কেও বিদ্যুতচালিত গাড়ির ব্যবহার বাড়ছে। নরওয়েতে ৯০ শতাংশ দূষণের কারণ হচ্ছে জালানিচালিত গাড়ির নির্গত কালো ধোঁয়া।
আপনার মতামত লিখুন :