সিরাজুল ইসলাম: [২] ১৯৭৭ সালে কোর্ট মার্শালে সেনা ও বিমান বাহিনীর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের নির্দোষ এবং আজিমপুর কবরস্থানে তাদের স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করার দাবি জানানো হয়েছে। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
[৩] কোর্ট মার্শালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের স্বজন এবং চাকরিচ্যুতদের ‘সাতাত্তরের ষড়যন্ত্রের শিকার আমরা’ নামে একটি সংগঠন এ মানববন্ধন করেছে।
[৪] মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া বিমানবাহিনীর সার্জেন্ট মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমানের ছেলে কামরুজ্জামান মিয়া লেলিন বলেন, প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী মত্যুদণ্ড কার্যকরের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু তিনি বাবার মরদেহ দেখার সুযোগ পাননি। তখন তার বয়স ছিলো ৬ বছর।
[৫] তিনি বলেন, ১৯৭৭ সালের ৮ অক্টোবর থেকে ফাঁসি দিতে শুরু করেন সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান। এর ছয় দিন পর তিনি মার্শাল ল আইন পাস করেন। নিয়ম অনুযায়ী, মার্শাল ল ট্রাইব্যুনালে বিচারক থাকেন পাঁচ সেনা কর্মকর্তা। তাদের একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল এবং বাকি চারজন ক্যাপ্টেন। চাকরির বয়স ন্যূনতম তিন বছর হতে হয়। কিন্তু জিয়া তা পরিবর্তন করে সিপাহী ও হাবিলদারদের বিচারক করেন। তারা খেয়ালখুশি মতো রায় দিয়েছে। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
আপনার মতামত লিখুন :