আসাদুজ্জামান: [২] বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার মাগুরা গ্রামের সাইফুল ইসলামের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।
[৩] এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে নগদ ১৮ হাজার ১০০ টাকা। আটকৃতদের বিরুদ্ধে উক্ত তিন নারীকে দিয়ে পতিতা বৃত্তির নামে বিভিন্ন জায়গা থেকে খরিদ্দার ডেকে তাদের জিম্মি করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
[৪] আটককৃতরা হলেন, সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার আব্দুল হান্নান মোল্যার ছেলে রাজু মোল্যা (২৭), সদর উপজেলার মাগুরা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে দেলোয়ার হোসেন সোহান (২১), তার স্ত্রী সাদিয়া সুলতানা (১৮), একই গ্রামের আফসার সদরদারের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক শুভ (২৪), মৃত ছাকার আলী আলী কচির ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪২), বরিশাল জেলার কোতয়ালী থানার কালিবাড়ি এলাকার নিখিল নন্দির ছেলে মিঠুন নন্দি (৩০), সাতক্ষীরা সদর উপজেলার গোবরদাড়ি এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে আমিনুর ইসলাম (৫০), বেতলা গ্রামের জনি সরদারের স্ত্রী রুমা খাতুন ইতি (২০), আশাশুনি উপজেলার কুন্দুড়িয়া গ্রামের মৃত ইসমাঈল হোসেনের স্ত্রী খালেদা আক্তার মিতা (২২)।
[৫] সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর্জা সালাহ উদ্দীন শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টায় সদর থানায় এক প্রেস ব্রিফিং-এ সাংবাদিকদের জানান, সংঘবদ্ধ এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে উক্ত তিন নারীকে দিয়ে মোবাইলে মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গা থেকে পতিতা বৃত্তির নামে খরিদ্দার ডেকে তাদের জিম্মি করে সুবিধা জনক স্থানে আটকিয়ে রেখে বিকাশ, রকেট ও অন্যান্যভাবে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিল।
[৬] গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে সদর থানার পুলিশ মাগুরা গ্রামের সাইফুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে উক্ত তিন নারীসহ ৭ জন সংঘবদ্ধ জিম্মিকারী ও দুই খরিদ্দারকে আটক করে।
[৭] তিনি আরো জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের মানব পাচার ও প্রতিরোধ দমন আইনে ১২(১)১৩/৮ ধারায় সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রেস ব্রিফিংকালে আরো উপস্থিত ছিলেন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) আসাদুজ্জামানসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা। সম্পাদনা: সাদেক আলী