দেবদুলাল মুন্না:[২] গতকাল এ রিপোর্ট করেছেন সাংবাদিক হেলেন রিগ্যান। কারণ হিসেবে ওই রিপোর্টে বলা হয়, বস্ত্রশিল্পের ডাই গিয়ে মিশছে নদীর পানিতে। তবে তৈরি পোশাকখাত এবং বস্ত্রশিল্প সহ সর্বোচ্চ রপ্তানিখাতগুলো থেকে পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনার জন্য সচেষ্ট বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
[৩] সিএনএন’কে পাঠানো এক ইমেইল বার্তায় মন্ত্রী শাহাবউদ্দিন বলেছেন, দূষণ রোধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সংরক্ষণ ও পরিবেশ বিষয়ক আইন আধুনিক করা। দূষণকারীদের জরিমানা করা। পানির গুণমত মাণ পর্যবেক্ষণ করা। কেন্দ্রীয় ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন। বর্জ্যপানি শোধন প্রক্রিয়া উন্নত করতে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে।
[৪] ঢাকা ভিত্তিক এনজিও আগ্রহ-এর প্রধান নির্বাহী রিদওয়ানুল হক বিষাক্ত রাসায়নিক দূষণকে বাংলাদেশের মতো একটি দেশের জন্য বিরাট সমস্যা বলে অভিহিত করেছেন। শীতের সময় এ থেকে মারাত্মক দুর্গন্ধ ছড়ায়। এখানে উল্লেখ্য, তার এই এনজিও দেশের প্রান্তিক সম্প্রদায়কে বিনামূল্যে পানীয় পানি এবং বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে।
[৫] সিএনএনের রিপোর্টে বলা হয় , ইলেন ম্যাকআর্থুর ফাউন্ডেশনের হিসাব মতে, পোশাক কারখানায় ডাইয়িংয়ের সময় রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে কাপড়কে নরম করার জন্য ধোয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করা হয় আরো রাসায়নিক পদার্থ। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রকম এসিড, এনজাইম, ব্লিচিং পাউডার, ফরমালডিহাইড। এতে পানির সাথে মিশে যাচ্ছে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ।