রাজু চৌধুরী: [২] চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আইন সংশোধনের পরামর্শ দিয়েছেন চসিক উন্নয়নে গঠিত পরামর্শক কমিটি।
[৩] শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) টাইগারপাস চসিক ভবনে আয়োজিত কমিটির সভায় এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। সভায় সুজন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের সুবিধার জন্য কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল করছেন। চট্টগ্রাম থেকে ঘুনধুম পর্যন্ত রেললাইন যাচ্ছে। এটা পরবর্তীতে মায়ানমার হয়ে চায়নায় যুক্ত হবে। তখন দেশের অর্থনীতির বিশাল স্বর্ণদুয়ার খুলে যাবে। বে-টার্মিনাল চালু হলে ভারত, নেপাল, ভুটান, তিব্বত প্রভৃতি দেশ মাল্টিলেবেল কানেক্টিভিটির মাধ্যমে বন্দরকে ব্যবহার করতে পারবে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ভৌগলিক অবস্থানের কারণে সবচেয়ে সুবিধা ভোগ করছে। একটি টেকসই অর্থনীতির জন্য উৎপাদনশীল বন্দর প্রয়োজন। আর উৎপাদনশীল বন্দরের জন্য একটি সচল শহর দরকার। শহর সচল না থাকলে বন্দর চলা কঠিন। কাস্টমস থেকে প্রচুর অর্থ নিয়ে যাচ্ছে এনবিআর জানিয়ে সেখান থেকে এক শতাংশ লভ্যাংশ পেতে আশাবাদ ব্যক্ত করেন চসিক প্রশাসক।
[৪] সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক, সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গৌতম বুদ্ধ দাশ, নৌবাহিনীর কমোডর (অব.) জোবায়ের আহমেদ, নগর পরিকল্পনাবিদ ও রাশিয়ার অনারারি কনসাল স্থপতি আশিক ইমরান, শিক্ষাবিদ হাসিনা জাকারিয়া, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সভাপতি প্রবীর কুমার সেন, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস এবং বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি এমএ সালাম। নান্দনিক, পরিবেশবান্ধব ও উন্নত চট্টগ্রাম নগর গড়তে বিশিষ্টজনদের পরামর্শ গ্রহণ উপলক্ষে ১৭ সদস্যের একটি পরামর্শক কমিটি গঠন করেছেন চসিক প্রশাসক। সভা শেষে, পরামর্শক কমিটি বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে বলে সাংবাদিকদের বলেন চসিক প্রশাসক।