শিরোনাম
◈ মুরাদনগরে ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে যা বললেন র‌্যাব (ভিডিও) ◈ বেনাপোল বন্দরে ২০টি বাংলাদেশি পাসপোর্টসহ ভারতীয় ট্রাকচালক আটক ◈ ভারত- ইংল‌্যান্ড টেস্ট সি‌রি‌জে বাংলা‌দে‌শের  সৈকতের আম্পায়ারিং বিতর্ক ◈ প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, অ্যাসিড নিক্ষেপে শিশুসহ দগ্ধ ৩ ◈ বাংলাসহ বিশ্বের ৩৫ ভাষায় শোনা যাবে মক্কার জুমার খুতবা ◈ শাজাহানপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশ কনষ্টেবলকে গণধোলাই  ◈ বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন হুমকির মুখে: শিল্প, বিষ, পর্যটন ও জলবায়ুর প্রভাবে বিপন্ন জীববৈচিত্র্য ◈ উচ্ছেদের ৪৫ দিনের মাথায় ফের গজিয়ে উঠছে অবৈধ স্থাপনা: বাগেরহাটে সড়কপথে আবারও বিশৃঙ্খলা ◈ যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লাইটে ধস্তাধস্তির ভিডিও ভাইরাল, ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুবক গ্রেপ্তার ◈ মুরাদনগরে নিখোঁজের একদিন পর বড় ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার, মাটিচাপা অবস্থায় মিলল ছোট ভাইয়ের ঘরে

প্রকাশিত : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:১১ দুপুর
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:১১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শরীফুল হাসান: সময়ের এক ফোঁড়, অসময়ের দশ

শরীফুল হাসান: আজ রাতের ফ্লাইটে সৌদি আরবগামী বাংলাদেশিদের কারও করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি। তবে এই প্রবাসীদের কেউই এখনো পরীক্ষার প্রতিবেদনের প্রিন্ট বা ছাপা কপি হাতে পাননি। আমি মনে করি এই যে দুর্ভোগ আর দুশ্চিন্তা সেটার অবসান জরুরী।
আজ সারাদিনের ভাবনা ও কাজে সৌদি আরবের মানুষগুলো ছিল। বিকেলে আমার লেখাটা যারা পড়েছেন তারা জানেন, আজ রাতে সৌদি এয়ারলাইনসের এসভি-৮০২ ফ্লাইটে ২৬০ জন বাংলাদেশির সৌদি আরবে যাওয়ার কথা। তারা সবাই কোভিড-১৯ সনদের অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু রাত ৮টা পর্যন্ত তারা কেউ মেসেজ না পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় ছিলেন। নেগেটিভ সনদের অপেক্ষায় থাকলেও তারা সেটা পাননি। তবে রাত ৮টার পর থেকেই অনেকেই মেসেজ পেতে থাকেন। এরপরই তারা রওয়ানা হন বিমাবন্দরের দিকে। কেউ কেউ অবশ্য বিমানবন্দরে মেসেজের অপেক্ষায় ছিলেন।
বিদেশগামীদের পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা মহাখালীর ডিএনসিসি মার্কেটে করোনাভাইরাস নমুনা পরীক্ষা কেন্দ্রের সমন্বয়ক চিকিৎসক সমীর কান্তির সঙ্গে রাতে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, মহাখালীতে কারও সনদ নিতে আসার দরকার নেই। কারণ, মহাখালীতে প্রিন্ট নিতে আসলে বিমানবন্দরে পৌঁছানো অসম্ভব হয়ে যাবে। কাজেই সৌদি আরবগামী প্রত্যেকেই যেন বিমানবন্দরে চলে যান। সেখানে হেলথ ডেস্কের কর্মকর্তারা প্রয়োজনে প্রিন্ট করে দেবেন।
সৌদি আরবগাী এই প্রবাসীদের কথা একবার ভাবুন। পাঁচটা দিন ধরে অনেকেই এক কাপড়ে ঢাকায়। টিকেট নিয়ে দুশ্চিন্তা, ইকামা নিয়ে নিয়ে দুশ্চিন্তা। অনেকে পরিবারকে বিদায় জানাতে বাড়িও যেতে পারেননি। অনেকে রাতে না ঘুমিয়ে ভোরে নমুনা দিয়েছেন। রাতে আবার ফ্লাইট। এদের উপর দিয়ে তো ঝড় যাচ্ছে। অনেকে পরিবারের সদস্যদেরও সঙ্গেও আর দেখা বরতে পারেননি। অনেকের পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় লাগেজ নিয়ে দেখা করতে এসেছে। কিন্তু পুরো সমস্যাটার যথাসময়ে সমাধান কী খুব কঠিন ছিল?
আমি বিশ্বাস করি আমরা যদি যথাসময়ে দায়িত্বশীল হতাম তাহলে এই মানুষগুলোর এতো কষ্ট হতো না। করোনা পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরা আমাকে বলছেেন, আজকে ২৬০ জন না হয়ে যদি ৫ হাজার লোকের পরীক্ষা করতে হতো একদিনে তাহলে কী হতো? নিশ্চয়ই অনেকে ফ্লাইট মিস করতেন। কাজেই পুরো কাজটার সমন্বয় দরকার।
আমি আর খুব বেশি কথা বলতে চাই না। যথা সময়ে তাদের রিপোর্ট পেতে দিতে যেই ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করেছে সবাইকে ধন্যবাদ। দোয়া করি প্রত্যেকেই যেন নির্ধারিত সময়ে বিমানবন্দের পৌঁছাতে পারেন। নিরাপদে যেন সৌদি আরবে গিয়ে সবাই কাজে যোগ দিতে পারেন।
নীতি নির্ধারকদের শুধু একটা কথাই বলবো, সময়ের এক ফোঁড়, অসময়ের দশ ফোঁড়। আসুন আমরা সবাই মিলে যথাসময়ে কাজ করে এই দেশ আর দেশের মানুষকে একটু ভালো রাখি। মানুষের প্রতি একটু সহর্মমী হই। ভালো থাকুক সব প্রবাসীরা। ভালো থাকুক পুরো বাংলাদেশ। শুভরাত্রি।  ফেসবুক থেকে
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়