রাজু চৌধুরী : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, চট্টগ্রাম নগরীর প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুবই আন্তরিক ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই তিনি জলাবদ্ধতা নিরসনে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে।
[৩] বৃহস্পতিবার বিকেলে দামপাড়াস্থ সেনাবাহিনীর ৩৪ এডিজি দপ্তরে প্রকল্প বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে এক বৈঠকে একথাগুলো বলেন।
[৪] প্রশাসক দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, মেগা প্রকল্পের সুফল নগরীর দু:খ মোচন করবে এ প্রকল্পের মোট বরাদ্দ থেকে মাত্র ৩০ শতাংশ ব্যয় হলেও সে তুলনায় প্রাপ্তি ও অর্জন যথেষ্ট দৃশ্যমান। তিনি এ প্রসঙ্গে আরো উল্লেখ করেন যে, চট্টগ্রাম নগরী পানি চলাচলের ক্ষেত্রে যে খালগুলো রয়েছে সেগুলোকে দখলমুক্ত করে পানি প্রবাহের বাধাহীন গতি নিশ্চিত করে জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়ন সক্ষমতা গতিশীল হবে। কর্ণফুলীর নদীর নাব্যতা না থাকায় ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে এবং জোয়ারের সময় বিশাল এলাকা প্লাবিত হয়ে যায় তার থেকে মুক্তির উপায় নিয়মিত ড্রেজিং। বৈঠকে চসিক প্রশাসককে অবগত করানো হয় যে, আগামী বছর জুন মাসের মধ্যে এই মেগা প্রকল্পটির বিশাল অংশ দৃশ্যমান হবে এবং এ প্রকল্পটি সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হলে জলবদ্ধতা নামক কোন সমস্যা বা আশঙ্কা থাকবে না।
[৫] বৈঠকে চট্টগ্রাম ৮ আসনের সংসদ সদস্য, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ বলেন, জলাবদ্ধতা স্থায়ী নিরসনের স্বপ্ন দেখেছেন সাবেক মেয়র মরহুম এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। এ জন্য তিনি সামাজিক আন্দোলনও গড়ে তুলেছিলেন। তাই আজ চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ পিএসসি, প্রজেক্ট পরিচালক লে. কর্ণেল শাহ আলী, লে. কর্ণেল সরকার ইকবাল, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী শিহাব বিন শামস প্রমুখ। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ