শিরোনাম
◈ শ্রীলঙ্কার কা‌ছে আফগা‌নিস্তান হে‌রে যাওয়ায় সুপার ফো‌রে খেলার সু‌যোগ পে‌লো বাংলাদেশ ◈ বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে টিউলিপের মিথ্যাচার, নতুন সংকটে স্টারমার: ডেইলি এক্সপ্রেসের রিপোর্ট ◈ শুধু অতীতের নয়, বর্তমানের দুর্নীতি থামাতেও নজর দিতে হবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ও চীন সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসাথে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ সাফ চ‌্যা‌ম্পিয়নশী‌পে নেপালকে ৪-০ গো‌লে হারা‌লো বাংলাদেশ ◈ শ্রীলঙ্কার প্রতি বাংলা‌দে‌শের সমর্থন, চোখ এড়ায়নি লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের ◈ আফগানিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচের ফল যেমন হলে লাভ বাংলাদেশের ◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় বিএনপি : সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০১:৪৩ রাত
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০১:৪৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] রাজশাহীর অবহেলিত চরাঞ্চলবাসীর সবজি ও ফল চাষে ভাগ্য বদলাবে

মঈন উদ্দীন: [২] বরেন্দ্র বহুমুখি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) লো লিফ্ট পাম্প (এলএলপি) ও পাতকুয়া স্থাপনে এখন পদ্মার চরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য বদলাতে শুরু করেছে। পবার হরিপুরের চরমাঝারদিয়াড়ে এরই মধ্যে এই সেচের আওতায় চাষিরা সবজিসহ ফলের আবাদে ঝুঁকছে। পদ্মা নদী থেকে এই এলএলপির মাধ্যমে চরএলাকার তিনশ থেকে পাঁচশ বিঘা জমিতে সেচ সুবিধা পাবে চাষিরা। এছাড়াও প্রতিটি পাতকুয়া থেকে সেচ দিয়ে সবজি আবাদ করা যাবে ৩০-৩৫ বিঘা জমিতে।

[৩] বিশেষ করে পাতকুয়া থেকে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ পাচ্ছেন কৃষক পরিবার। এছাড়াও পতিত কৃষি জমিতে সেচ দিয়ে চাষাবাদ করতে পারছেন তারা। ফলে একদিকে যেমন বিশুদ্ধ খাবার পানি পাচ্ছেন এবং অন্যদিকে সবুজ হচ্ছে পতিত জমি। আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষক।

[৪] সোমবার চরমাঝারদিয়াড়ে একটি এলএলপি ও ছয়টি পাতকুয়ার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএমডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী (এসডাব্লুউআইপি) শরীফুল হক প্রায় সোয়া কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে এসব পাতকুয়া ও এলএলপি। যা সম্পূর্ণ সোলার সিস্টেমে (সৌর বিদ্যুতে) চলবে।

[৫] রাজশাহীর পদ্মা নদীর ওপারে পবা উপজেলার চর মাঝারদিয়াড়। এতদিন সুপেয় পানি ও সেচের পানির জন্য গ্রীষ্মকালে ব্যাপক সমস্যা হতো এই চর এলাকার মানুষের। তবে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে পাতকুয়া থেকে পানি পাওয়ায় সেই চর অঞ্চলে এখন পানির সমস্যার সমাধান হয়েছে।

[৬] তারা এখন জমিতে বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, লাউ, মরিচ চালকুমড়া, মিষ্টিকুমড়া, বেগুন, টমেটো, আলু, আবাদের জন্যও পানি পাচ্ছে চর অঞ্চলের মানুষ। সবজি আবাদের পাশাপাশি তারা ফলের আবাদে মেতেছে। বিশেষ করে আম, পেয়ারা ও কলা চাষ করছেন। চরের এই বিষমুক্ত ফলের চাহিদা, মান ও দাম সবই বেশী। চাষিরা এখন সবজির পাশাপাশি ফলের আবাদ করে লাভবান হচ্ছে।

[৭] পবার হরিপুরের চর মাঝারদিয়াড়ে সুপেয় পানি ও সেচের জন্য এলএলপি (নদী থেকে পানি উঠানো) এবং সোলার প্যানেলের মাধ্যমে পাতকুয়া থেকে পানি উত্তোলন বেশ কিছুদিন আগে থেকেই পর্যবেক্ষণ মূলক চালু আছে। আর এতেই চরবাসীর জীবনমান, সবুজায়ন ও আবাদের পরিমান বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। বরেন্দ্র বহুমূখি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এ পাতকুয়ার সফলতা নিয়ে এখন অনেক আশাবাদি হয়ে উঠেছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়