ডেস্ক রিপোর্ট: করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতা থেকে সুরক্ষা দিতে পারে ইলিশ মাছ! সম্প্রতি আন্তর্জাতিক এক সায়েন্স জার্নালে উঠে এসেছে এমনই তথ্য। সেখানে বিজ্ঞানীরা অবশ্য সরাসরি ইলিশের নাম বলেননি! তবে করোনার প্রদাহরোধী বিশেষ খাদ্য উপাদান ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের কথা তারা বলেছেন, তা সবচেয়ে বেশি রয়েছে ইলিশ মাছেই। সায়েন্স অব ফুড নামের পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে সিনসিন্যাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দাবি করেন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড করোনা রোগীর আইসিইউনির্ভরতা কমিয়ে দিতে পারে অনেকটাই। মার্কিন গবেষকদের মতে, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান শরীরের করোনা সংক্রমণজনিত প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। অর্থাৎ করোনা ভাইরাস যদি আক্রমণ করেও, অল্পের ওপর দিয়েই যাবে। আইসিইউতে ঠাঁই নিতে হবে না। ফুড সাপ্লিমেন্ট হিসেবে বিভিন্ন সংস্থার ওমেগা-৩ বাজারে পাওয়া যায়। তবে গবেষকদের মতে, সেই ফুড সাপ্লিমেন্টের থেকে বেশি কার্যকর সরাসরি এমন খাবার খাওয়া, যার মধ্যে ওমেগা-৩ রয়েছে। যার মধ্যে প্রথম স্থানেই ইলিশ ।
এছাড়া স্যামন, টুনা, সার্ডিন মাছেও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। তবে সামান্য পরিমাণে। বিশেষজ্ঞরা জানান, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মধ্যে আইকোসাপেনটানেক অ্যাসিড এবং ডকোসাহেস্কানয়েক অ্যাসিড আসল কাজটা করছে। একটা এক কেজির ইলিশ মাছে প্রায় ১২ শতাংশ আইকোসাপেনটানেক অ্যাসিড আর ডকোসাহেস্কানয়েক অ্যাসিড থাকে। এ দুই উপাদান এনজাইমের সঙ্গে মিশে দুটি প্রদাহরোধী উপাদান সৃষ্টি করে। এর একটি হলো আইকোস্যানয়েডস আর অন্যটি হলো কিছু লিপিড ম্যাডিয়েটর। এইগুলোই শরীরের সংক্রমণজনিত প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
এ গবেষণা প্রসঙ্গে বিজ্ঞানীদের একাংশের মত, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিসহ একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। শরীরের বিভিন্ন প্রদাহজনিত সমস্যা কমাতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এ উপাদান। তবে করোনা রোগীদের আইসিইউ নির্ভরতা কমাতে ঠিক কতটা কার্যকর এ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, সে উত্তর পেতে অনেক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রয়োজন।
সূত্র : আলোকিত বাংলাদেশ
আপনার মতামত লিখুন :