শিরোনাম
◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ অহেতুক চাপ সৃষ্টি করতে জামায়াতের কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সাত দল ◈ স্ত্রী আসলেই নারী কি না প্রমাণ দেবেন ম্যাখোঁ ◈ আগামী বছরের বইমেলার সময় পরিবর্তন ◈ সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, যা জানালো ভারত ◈ সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: অবসরে বাড়ছে সুযোগ-সুবিধা, কমছে অপেক্ষাকাল ◈ আগামীকাল ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় যমুনা টিভির সাংবাদিকসহ আহত ৫

প্রকাশিত : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৬:৪৮ সকাল
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৬:৪৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মধ্যরাতে আবারো নুরকে তুলে নিলো ডিবি পুলিশ

 

ডেস্ক রিপোর্ট : মধ্যরাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরকে আবারো হেফাজতে নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। সোমবার রাত ১১.৪৫ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিছনের গেট থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল নুরকে তাদের হেফাজতে নিয়ে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।

এসময় গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকা মেডিকেল-এর পকেট গেট দিয়ে গাড়িতে তুলে নুরকে নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় নুরের সমর্থকরা সেই গাড়িতে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে পুলিশ নুরকে নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করে।

এর আগে সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার দিকে নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার প্রতিবাদে মিছিল বের করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য ভবন এলাকায় গেলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এসময় পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে নুরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের কিছুক্ষণ পরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

 

রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় এ মামলাটি করেন। মামলায় মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ধর্ষণে সহযোগী হিসেবে নুরুল হক নুরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় ঢাবি ছাত্রীর করা ধর্ষণের মামলার প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিক্ষোভ করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। এদিকে ছাত্র পরিষদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় আহত পাঁচজন পুলিশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

এদিকে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে। ধর্ষণের স্থান হিসেবে লালবাগ থানার নবাবগঞ্জ বড় মসজিদ রোডে হাসান আল মামুনের বাসার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

নুর ও মামুন ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক (২) মো. সাইফুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা এবং ঢাবি শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ হিল বাকি।
সূত্র- ইত্তেফাক

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়