সুলতান মির্জা: ইলিশ রপ্তানির সাথে পেঁয়াজ আমদানিকে জড়িয়ে যারা প্যাচাল করছেন, বিশ^াস করি তারা বাংলাদেশের মঙ্গলজনক কিছু চায় না। ইলিশের জায়গায় ইলিশ, পেঁয়াজের জায়গায় পেঁয়াজ। বাস্তবতা বুঝতে হবে, ভারতের অভ্যন্তরীণ মেটার কি সেটা আলোচনা করার যোগ্য ব্যক্তি আমি আমরা নই। রাষ্ট্র টু রাষ্ট্রের সম্পর্ক পেঁয়াজ দেওয়া পসিবল কিনা সেটা রাষ্ট্র টু রাষ্ট্র বুঝবে আমরা কথা বলার কেউ নই। তবে প্রাসঙ্গিক কয়েকটা ইনফো জানা দরকার যা নিয়ে আমরা কথা বলতে পারি। তার আগে জানতে হবে চলতি বছরের এই প্রান্তিকে ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ এসেছে কতো টন? শুনলে চোখ আকাশে উঠতে পারে কিন্তু এটাই সত্যি যে চলতি বছরের এই ৮ মাসে ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন। এই কথা বলার কোনো সুযোগ নেই ভারত একেবারেই আমাদের পেঁয়াজ দেয়নি বা দিচ্ছে না। যেখানে প্রতিবছর আমাদের দেশজ উৎপাদন চাহিদা পঁচে যাওয়া সব ক্যালকুলেট করার পরে সর্বমোট আমদানি করতে হয় প্রায় ৮ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ, সেখানে ইতোমধ্যে ভারত থেকে আমদানি করা হয়ে গেছে প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ।
বাকি থাকে ৩ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে প্রাসঙ্গিক বাংলাদেশের সাথে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি কতো? গেলো ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ ভারত থেকে আমদানি করেছিল ৯২১ কোটি ডলারের পণ্য, বিপরীতে বাংলাদেশ ভারতে রপ্তানি করেছে ১০৪ কোটি ডলারের পণ্য। যেখানে কথায় কথায় আমাদের দেশের এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবী বা ফেসবুকার যারা ঘরে ভারতীয় টিভি চ্যানেল দেখতে দেখতে ভারতের মোটর সাইকেল চালিয়ে খোচা মারতে ছাড়ে না ভারতের সাথে বাণিজ্য ঘাটতির বিষয়ে আমাদের সরকারের সাফল্য নেই সেখানে চলতি বছর ভারতে আমাদের ইলিশ রপ্তানি কেন সমালোচনায় মুখর? যারা সমালোচনা করছে তারা কারা? তারা কি দেশের ভালো চায়? বাস্তবতা আমাদের যেমন আছে বাস্তবতা ভারতেরও নিশ্চই আছে। তারা তাদের উৎপাদিত পেঁয়াজ বা অন্যান্য দ্রব্য নিজের চাহিদা মিটিয়েই তো রপ্তানি করবে তাই না? আমরা কি ইলিশ মাছ না খেয়ে ভারতে রপ্তানি করছি? যেখানে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত প্রচেষ্টায় গত বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে রেকর্ড ইলিশ মাছের উৎপাদন হচ্ছে সেখানে সেই মাছ বিক্রি করে যদি আমার বৈদেশিক মুদ্রা আসে তাহলে কার কি সমস্যা? ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :