তরিকুল ইসলাম: [২] চুক্তি স্বাক্ষরের পর মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সরাসরি মামলা করলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জটিলতা হতে পারে বলেই রোহিঙ্গা ইস্যুতে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক প্রচেস্টায় মনোযোগ দিয়েছে ঢাকা।
[৩] বাংলাদেশ কৌশল হিসেবে ইসলামী দেশগুলোর জোটে সিদ্ধান্ত নিয়ে গাম্বিয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আদালতের আশ্রয় নিয়েছে। সমর্থন আদায়ে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে।
[৪] মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণে দেশটির বন্ধু রাষ্ট্র চীন এবং ভারতের বিষয়টিও ভাবতে হয়েছে ঢাকার কূটনীতিকদের।
[৫] এ কারণেই ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে বিশ্বের মুসলিমপ্রধান ৫৭টি দেশের জোট ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষে গাম্বিয়া গণহত্যা প্রতিরোধবিষয়ক কনভেনশন লঙ্ঘনের অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করে।
[৬] বাংলাদেশ ওআইসির উদ্যোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার করা মামলা সমর্থন দিয়েছে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনাও চালিয়ে যাচ্ছে।
[৭] এছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যু তদন্তে গঠিত ওআইসির কমিটির প্রধানও ছিল গাম্বিয়া।
[৮] অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল গাম্বিয়াকে এ মামলা চালিয়ে যেতে ওআইসিসহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশ সহায়তা করছে।
[৯] জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে গঠিত এ সর্ম্পকিত কমিশনের রিপোর্টসহ সংশ্লিষ্ট সব ডকুমেন্ট গাম্বিয়াকে সরবরাহ করেছে বাংলাদেশ। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :