শিরোনাম
◈ বাংলাদেশি কোম্পানির বিদেশে বিনিয়োগ ১৮ দেশে, স্থিতি ৩৫ কোটি ডলার ◈ ‘সুসম্পর্কই লক্ষ্য’ — বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বার্তা দিলেন রাজনাথ সিং ◈ অভ্যুত্থানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু সদস্যের ভুল ছিল: হিন্দুস্তান টাইমসকে হাসিনা ◈ বিড়াল হত্যাকারী সেই নারী গ্রেপ্তার ◈ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হওয়া জরুরি: জামায়াত আমির ◈ ৫ আগস্টের পর ছাত্ররা ভুল করেছে, নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা যাবে ভারতের হাতে: ফরহাদ মজহার ◈ মির্জা আজম বলেন, “সালামান তো বলল পাঠাবে, জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ও তো উল্টা টাকা চায় (অডিও) ◈ রিজভীর পা ছুঁয়ে সালাম করা ট্রাফিক সার্জেন্ট আরিফুল প্রত্যাহার ◈ বাংলাদেশ সীমান্তের পাশে তিন সেনা ঘাঁটি স্থাপন করেছে ভারত, সম্পর্কের প্রভাব নিয়ে নতুন প্রশ্ন ◈ সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক করল আইএসপিআর

প্রকাশিত : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৯:৩০ সকাল
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৯:৩০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গাংচিল বাহিনীর প্রধান সালাউদ্দিন অস্ত্র ও মাদকসহ আটক

সুজন কৈরী : সাভারের আমিনবাজার এলাকার দুর্ধর্ষ গাংচিল বাহিনীর প্রধান সালাউদ্দিন ওরফে এমপি সালাউদ্দিন ও তার ২ সহযোগীকে অস্ত্র ও মাদকসহ আটক করেছে র‌্যাব-৪।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ২টায় আমিনবাজারের সালেহপুরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। তার কাছ থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ২ রাউন্ড গুলি, ১৯০ গ্রাম হিরোইন, ৫০০ পিস ইয়াবা এবং দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব-৪ জানিয়েছে, ২০০০ সাল থেকে আমিন বাজারসহ আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালানোর মধ্য দিয়ে উত্থান হয় গাংচিল বাহিনীর। যার প্রধান ছিল আনোয়ার হোসেন ওরফে আনার। বেশিরভাগ সময় পানিবেষ্টিত এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাÐ চালানোয় এর নাম দেয়া হয় গাংচিল বাহিনী। ২০১৭ সালে আনারের মৃত্যুর পর তার সহযোগী সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে আবারও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরু করে। এ বাহিনী মূলত আমিন বাজার, গাবতলী, ভাকুর্তা, কাউন্দিয়া, বেড়িবাধ, কেরানীগঞ্জ ও মোহাম্মদপুর এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ডাকাতি, খুন ইত্যাদি কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল।

দুর্র্ধষ গাংচিল বাহিনী ২০০২ সালে সাভার থানার ১ জন এসআইকে হত্যা করে। এরপর ২০০৭ সালে ২ জন র‌্যাব সদস্যকে হত্যা, দিয়াবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির অস্ত্রলুট এবং আমিন বাজার এলাকায় নৌ-টহল দলের অস্ত্র লুটের সঙ্গে জড়িত ছিল। এ বাহিনী তুরাগ ও বুড়িগঙা নদীর বালুভর্তি ট্রলার, ইটের কার্গোতে ডাকাতি ও আমিন বাজার এলাকার শতাধিক ইটভাটা থেকে নিয়মিত চাঁদা সংগ্রহ করতো। এছাড়াও এলাকার প্রভাবশালীদের টার্গেট করে গাংচিল বাহিনীর সদস্যরা মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে এবং চাঁদা না দিলে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। চাঁদাবাজি, খুন, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, ছিনতাইসহ তুরাগ আর বুড়িগঙ্গা নদীর দুই ধারে একক ছত্র অধিপত্য বিস্তার ছিল এই বাহিনীর প্রধান কাজ।

র‌্যাব-৪ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. জিয়াউর রহমান চৌধুরী বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানিয়েছেন, তারা সবসময় নদীতে ও নদীর তীরবর্তী এলাকায় তাদের কর্মকান্ড পরিচালনা করেন। বেশিরভাগ সময় নদীপথে যাতাযাত করেন। তাদের যাতাযাতের বাহন ছিল ডাবল ইঞ্জিন চালিত ট্রলার। তারা সাভার-আমিনবাজার এলাকার বিভিন্ন ইটভাটার মালিক ও তুরাগ-বুড়িগঙ্গা নদীতে চলাচলকারী বালু ভর্তি ট্রলার মালিকের কাছ থেকে মাসিক ভিত্তিতে চাঁদা আদায় করতো। চাঁদা না দিলে নেমে আসতো ভয়াবহ বিপদ।

এই বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় খুন, অস্ত্র, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও মারামারির একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়