শিরোনাম
◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ অহেতুক চাপ সৃষ্টি করতে জামায়াতের কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সাত দল ◈ স্ত্রী আসলেই নারী কি না প্রমাণ দেবেন ম্যাখোঁ ◈ আগামী বছরের বইমেলার সময় পরিবর্তন ◈ সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, যা জানালো ভারত ◈ সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: অবসরে বাড়ছে সুযোগ-সুবিধা, কমছে অপেক্ষাকাল ◈ আগামীকাল ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় যমুনা টিভির সাংবাদিকসহ আহত ৫ ◈ ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে: প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:৩৪ দুপুর
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:৩৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] হরিপুর-চিলমারি তিস্তা সেতুর নির্মাণ সাইট হস্তান্তর

রফিকুল ইসলাম: [২] অবশেষে ব্যাপক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে তিস্তা পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণে আলোর মুখ দেখতে শুরু করল। দ্রুত কাজ বাস্তবায়নের জন্য গতবুধবার বিকালে সেতু নির্মাণ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চায়না স্টেট কনসালটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার করপোরেশন প্রকৌশলীগণ সেতু পয়েন্ট এলাকা পরিদর্শন করে জেলা ও উপজেলা এলজিইডি দপ্তরের নিকট হতে সাইট বুঝে নেন।

[৩] এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান কবির, সিনিয়র সহকারি প্রকৌশলী সামিউল ইসলাম, সহকারি প্রকৌশলী মোত্তাকিম,উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মুনছুর, উপসহকারি প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান প্রমুখ। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের প্রথম সভায় গত ৬ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর- চিলমারি উপজেলা সদরের সঙ্গে সংযোগকারি সড়কে তিস্তা নদীর উপর ১ হাজার ৪৯০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধীত) প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।

[৪] ২০১৮ সালে সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল উপজেলার হরিপুর-চিলমারী তিস্তা সেতু নির্মাণসহ সংযোগ সড়কের কাজ। ১ হাজার ৪৯০ মিটার সেতু নির্মাণের জন্য ১৫৩ একর ভুমি অধিগ্রহনের সিদ্ধান্ত রয়েছে। সে স্থলে কুড়িগ্রাম জেলার ২০ একর ভুমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। গাইবান্ধা জেলার ১৩৩ একর ভুমি এখন পযন্ত অধিগ্রহন সম্পন্ন হয়নি।

[৫] হরিপুর সেতু সংলগ্ন এলাকা হতে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহর পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি সেতুর সংযোগ সড়কে রুপান্তের কাজ এবং গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর ধাপেরহাট থেকে হরিপুর সেতু পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার সংযোগ সড়কের কাজ অনেকটা এগিয়ে রয়েছে। ২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাইবান্ধার সার্কিট হাউজে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হরিপুর চিলমারি তিস্তা সেতুর ভিত্তি উদ্বোধন করেন।

[৬] এরপর ঝুলে যায় সেতু নির্মাণের কাজ। ৭৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বরাদ্দে নির্মাণ করার হবে তিস্তা সেতু। এর মধ্যে ২৭৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা মূল সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে। সড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, নদী শাসনে ৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং জমি অধিগ্রহণে ব্যয় হবে ৬ কোটি টাকা। সেতুটিতে পিলার থাকবে ৩০টি এর মধ্যে ২৮টি পিলার থাকবে নদীর ভিতরে অংশে এবং ২টি পিলার থাকবে বাহিরের অংশে। সেতুর উভয়পাশে নদী শাসন করা হবে ৩.১৫ কিলোমিটার করে।

[৭] সেতুর উভয় পাশে সড়ক নির্মাণ করা হবে ৫৭. ৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে চিলমারি মাটিকাটা মোড় থেকে সেতু পর্যন্ত ৭.৩ কিলোমিটার এবং গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর ধাপেরহাট থেকে হরিপুর সেতু পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার। চিলমারী অংশে একসেস সড়ক সেতু থেকে কাশিম বাজার পর্যন্ত ৫.৩ কিলোমিটার এবং গাইবান্ধা ধাপেরহাট থেকে হরিপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জানান, আগামি এক মাসের মধ্যেই মুল সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। সম্পাদনা: সাদেক আলী

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়