শরীফ শাওন: [২] করোনার কারণে ছয় মাস বন্ধ রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। সময়টি ঢাবির একটি পূর্ণ সেমিস্টার সস্পন্ন করার সমান। এখনো বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরিকল্পনা না থাকায় এক বছর সেশন জটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
[৩] ৪৯টি বিভাগে সেমিস্টার পদ্ধতি চালু আছে। ছয় মাসের চূড়ান্ত পরীক্ষার মাধ্যমে আটটি সেমিস্টারে স্নাতক ও দুই সেমিস্টারে স্নাতকোত্তর করতে হয়।
[৪] ঢাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এ কে এম মাকসুদ কামাল বলেন, সেশন জট কাটিয়ে ওঠতে ইতোমধ্যে প্রাথমিকভাবে আলোচনা চলছে। সকল বিভাগের ক্ষেত্রে দুটি সেশনকে এক করে অনেকটা বাৎসরিক পদ্ধতিতে সংক্ষিপ্ত আকারে সেশন জট শেষ করা যেতে পারে।
[৫] তিনি বলেন, অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়া, সাপ্তাহিক বন্ধের দিনগুলোতে ক্লাস নেওয়া, বাৎসরিক বন্ধের দিনগুলো কমিয়ে আনাসহ কিছু পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরপরই কিছু রিভিউ ক্লাস নিয়ে পরীক্ষা নেবো। সেমিস্টারগুলোকে চার মাস করে আট মাসে নিয়ে আসবো। এভাবেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
[৬] উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, এ ধরনের সমস্যা ঢাবির জন্য নতুন নয়। মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন ঘটনায় দীর্ঘ সময়ের জন্য ঢাবি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। সেশন জট কাটিয়ে আমরা উত্তরণে সফল হয়েছি। জীবন মূল্যবান, ফলে তাড়াহুড়ো না করে ধৈর্য ধরতে হবে। বৃহত্তর স্বার্থে ক্ষুদ্রতর ত্যাগ করা অযৌক্তিক হবে না। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :