এএইচ রাফি: [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় পা হারিয়ে মোছা. আম্বিয়া নামের ৬ মাসের যমজ অনাগত শিশু নিয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন এক নারী। গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। দূর্ঘটনায় আম্বিয়া গুরুতর আহত হলেও অক্ষত রয়েছে তার পেটে থাকা অনাগত দুই শিশু।
[৩] আম্বিয়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা গ্রামের মৃত মোঃ শামসু মিয়ার মেয়ে। তার স্বামী ইব্রাহিম মিয়া পেশায় একজন দিন মজুর। আম্বিয়ার পায়ের চিকিৎসার জন্য ৩ লক্ষ টাকা লাগবে বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা। কিন্তু এই টাকা এক রিকশা চালক পরিবারের জন্য সংগ্রহ করা প্রায় অসম্ভব।
[৪] আহত আম্বিয়ার স্বজনরা জানান, গত ২৯ আগস্ট সকাল ১১ টায় আখাউড়া বাইপাস রোডে সিএনজি-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে তার ডান পা ভেঙ্গে যাওয়ার পর আম্বিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে প্রেরণ করা হয় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছে, দ্রুত অপরেশন করাতে হবে তাকে। নয় তো পৃথিবীর আলো ক্রমান্বয়ে নিভে যাবে আম্বিয়ার জীবন থেকে। তবে আম্বিয়ার যে বাঁচতে চায়, তার পেটের অনাগত যমজ দুই সন্তানের জন্য হলেও পৃথিবীর আলোয় আবারও উদ্ভাসিত হতে চায় আম্বিয়া।
[৫] চিকিৎসরা বলছে, তার চিকিৎসার জন্য ৩ লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু দরিদ্র এই পরিবারের পক্ষে এতো টাকার খরচ বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে টাকার অভাবে গর্ভবতী মা ও তার পেটের অনাগত যমজ সন্তান শঙ্কয় রয়েছেন। এই অবস্থায় দুই জমজ সন্তানসহ গর্ভবতী মায়ের জন্য পরিবারটি সমাজের সকলের কাছে মানবিক সহযোগিতা চেয়েছেন।
[৬] আম্বিয়ার বড় বোন শাহানা বেগম ও ভগ্নিপতি খোকন মিয়া জানান, আম্বিয়ার পেঠে জমজ দুইটি সন্তান রয়েছে। আম্বিয়ার সাথে অনাগত দুই সন্তানও ঝুঁকিতে রয়েছে এখন। ১৭ সেপ্টেম্বর একটি অপারেশন করবে বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে আরও অপারেশন করা হবে। সমাজের সকলের কাছে আমাদের অনুরোধ নিজের বোন মনে করে আম্বিয়ার অপারেশন গুলো করতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন।
[৭] আম্বিয়ার বড় বোন শাহানা বেগম আরও বলেন, জেলা সদরে হাসপাতালে আমার স্বামী অসুস্থ হয়ে ভর্তি ছিল। তাকে দেখতে আসার সময় আমার বোন সড়ক দুর্ঘটনায় এখন পেটে জমজ দুই সন্তান নিয়ে হাসপাতালের বেডে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ