মির্জা ইয়াহিয়া: বাঙালির খাবার দাবারে ইলিশের গুরুত্ব অনেককাল ধরেই রয়েছে। এর স্বাদ নিতে সবাই আকুল থাকে। তবে ইলিশ সংগ্রহের বিষয়টি বিভক্ত বাংলায় পাল্টে গেছে। ঢাকার মানুষরা সহজে পদ্মার ইলিশ খেতে পারে। আর কলকাতার বাঙালিরা, সেটা সহজে পায় না। কারণ বছরের বেশির ভাগ সময়ই আমাদের দেশ থেকে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ থাকে। মৌসুম এলে অল্প কিছু রপ্তানি হয়। সেটা এই বছরও দেখা যাচ্ছে। আমাদের ছোটবেলা থেকেই দেখেছি, বর্ষার সময় ইলিশে ভরে যায় বাজার। ঘরে ঘরে এই মাছ খাওয়ার ধুম পড়ে যায় তখন। আর ইলিশ খাওয়ার কতো যে কায়দা, তার কোনো শেষ নেই। ভাজা ইলিশ, সাদা রান্না, কচু ইলিশ, কাঁচকলা ইলিশ, শর্ষে ইলিশ নানান স্বাদে ইলিশ খায় বাঙালি। ইলিশ খিচুড়ি কিংবা ইলিশ পোলাও অনেকের প্রিয় খাবার। কেউ কেউ আবার ইলিশের ডিম খেতে খুব পছন্দ করে।
ঢাকা শহরে ইলিশের পাইকারি বাজার হিসেবে সোয়ারি ঘাটের ইতিহাস অনেক পুরনো। পরবর্তী সময়ে কারওয়ান বাজার, যাত্রাবাড়ি বড় বাজারে পরিণত হয়েছে। ভোজন বিলাসী অনেকে এই সময়ে ইলিশ ক্রয় করতে, এসব পাইকারি বাজারে চলে যান। ঢাকায় যদি কেউ হোটেল রেস্তোরাঁয় ইলিশের স্বাদ নিতে চান। তাহলে চলে যেতে পারেন পুরান ঢাকার বাংলা বাজারের বিখ্যাত বিউটি বোর্ডিংয়ে। তাদের শর্ষে-ইলিশের নাম অনেক দিন ধরেই শুনে আসছি। অন্য দিকে ঢাকাইয়াদের কাছে জনপ্রিয় সাতরওজা এলাকার আনন্দ বেকারির আস্ত ইলিশের কাবাব। এর স্বাদ নিতে হলে আগেই অর্ডার করতে হয়। এটা সাধারণ বিভিন্ন উৎসব আয়োজনে সংগ্রহ করে ঢাকাবাসী। ইলিশ কেন্দ্রিক বাঙালির ভোজন বিলাস বজায় থাকুক, এই কামনা করছি। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। ফেসবুক থেকে