মনজুর অনিক: [২] নারায়ণগঞ্জে বিস্ফোরিত মসজিদটি ওয়াকফ করা জমিতে না কি হিন্দু বা রাস্তার দখল ককে গড়ে উঠেছে তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে মসজিদ কমিটি দাবি ওয়াকফ জমিতেই মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। ষাটের দশকে হোসেন সরদার, আফতাব উদ্দিন সরদার, শামসুদ্দিন সরদার, ও সিদ্দিক সরদারের স্ত্রী মসজিদের জমি ওয়াকফ করেন এবং টিনের ঘর তৈরি করা হয়। পরে ১৯৯১ সালের দিকে মসজিদটি পাকা ভবন করা হয়। একই বংশের চার জনের দান করা পৈত্রিক সম্পত্তিতে বিধি মেনে মসজিদটি গড়ে তোলা হয়েছে। ওই সময় মসজিদটি বৈধ জমিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে তৈরি হয়েছে কিনা সে বিষয়টিও সামনে আসছে।
[৩] মসজিদের জমিদাতা শামসুদ্দিন সরদার বলেন, সিএস, এসএ, আরএস পর্চায় এই জমি আমাদের নামে। দাদার বাবা কার কাছ থেকে জমি কিনেছেন সেটা বলতে পারব না। তবে এক সময় মুসলমানদের নামের আগেও শ্রী লেখা হতো। এ কারণে অনেকে ধারণা করেন এটা হিন্দু সম্পত্তি, মোটেও তা নয়। হিন্দু সম্পত্তিতে বা রাস্তা দখল করে মসজিদটি গড়ে উঠেছে বলে যে গুঞ্জন আছে তা সঠিক নয়। বরং ওয়াক্ফ করা জমি থেকে রাস্তার জন্য জায়গা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মসজিদ কমিটির সভাপতি আবদুল গফুর বলেন, মসজিদ ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায়।
[৪] ২০১০ সালের ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ) অধীনে রয়েছে এলাকাটি। এখন ড্যাপ এলাকায় কোনো ভবন বানাতে হলে রাজউকের অনুমোদন লাগে। তবে ওই মসজিদ হয়েছে ড্যাপের অনেক আগে। মসজিদ ভবন নিয়ম মেনে তৈরি হয়েছে। ওয়াকফ করে দিয়েছে তার সমস্ত কাগজপত্র আছে। মসজিদের ড্রইংও আছে।
[৫] সব মিলিয়ে নিজস্ব জায়গার মধ্যে রয়েছে মসজিদ।এ বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপণ বলেন, ইউনিয়নে ভবন নির্মাণের সময় অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু ২৫-৩০ বছর আগে এ ধরনের অনুমতি লাগত কি না, তা তার জানা নেই। প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে নয়টার দিকে এশার নামাজ চলাকালে মসজিদটিতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণে অর্ধশতাধিক মানুষ অগ্নিদগ্ধ হন। তাদের ৩১ জন ইতোমধ্যে মারা গেছেন। আরও পাঁচজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। সম্পাদনা: সাদেক আলী