এএইচ রাফি: [২] বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের পাদুর্ভাবের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবারও শুরু হচ্ছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান। বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হয়ে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
[৩] বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. জাহিদুর রেজা।
[৪] গ্যাসের জেলা হিসেবে পরিচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া। দেশের সর্বাধিক সংখ্যক গ্যাস কুপ এই জেলায়। তবে জেলার অধিকাংশ মানুষের দাবি, নিজ জেলার গ্যাস সমৃদ্ধ হলেও তারা অধিকার থেকে বঞ্চিত। কিন্তু বর্তমানে সরকারী আদেশে নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়া বন্ধ রয়েছে।
[৫] বন্ধ থাকার পরও গ্যাস ফিল্ডের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাথে ঠিকাদারদের যোগসাজশে নতুন গ্যাস সংযোগ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। প্রতিটি আবাসিক গ্যাস সংযোগ দিতে দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা ও বানিজ্যিক ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫লক্ষ টাকা নিচ্ছে। সংযোগের পর গ্যাস বিতরণ বিভাগের বই দিয়ে ব্যাংকে বিলও জমা দিচ্ছেন তারা। অফিসের অসাধু কর্মকর্তারা অনৈতিকভাবে বিল বই গুলো ঠিকাদারদের মাধ্যমে দিচ্ছে। তবে অধিকাংশ বই পাতা শেষ হওয়ার পর নতুন বই আনতে গিয়ে অবৈধ সংযোগের বিষয়টি সনাক্ত হচ্ছে।
[৬] এই বিষয়ে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. জাহিদুর রেজা বলেন, অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও উত্তোলন করা আমাদের চলমান প্রক্রিয়া। কিন্তু করোনার মহামারীর কারণে এই অভিযান বন্ধ ছিল। বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) থেকে এই অভিযান আবার শুরু হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমরা অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে ২৩টি এলাকা সনাক্ত করেছি।
[৭] ইতিমধ্যে ১৮টি এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এই পর্যন্ত ৭৯ হাজার ফুট অবৈধ গ্যাস লাইন উত্তোলন করা হয়েছে। এসব ঘটনায় দুইটি মামলা করা হয়েছে। তবে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উত্তোলনের পর পূনরায় দুইটি এলাকায় সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। এই বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সম্পাদনা: সাদেক আলী