শিরোনাম
◈ বাসায় ফিরেছেন তারেক রহমান, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ◈ পে স্কেল নিয়ে নতুন কর্মসূচির পথে সরকারি কর্মচারীরা ◈ ১৬ মিনিটের সম্পূর্ণ বক্তব্যে যা বললেন তারেক রহমান (ভিডিও) ◈ এবার ওড়িশায় ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা ◈ অসুস্থ মাকে দেখে গুলশানের বাসায় ফিরলেন তারেক রহমান ◈ তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ইতিবাচক দেখছে জামায়াত, নজর থাকবে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনায়: জামায়াত আমির ◈ জাতীয় নির্বাচন: বিএনপির সঙ্গে পর্দার আড়ালে ছোটদলগুলোর আলোচনা ◈ অবশেষে হাসপাতালে মায়ের পাশে তারেক রহমান ◈ লটারির মাধ্যমে বন্দি মুক্তির নামে প্রতারণা, কারা অধিদপ্তরের সতর্কবার্তা ◈ নির্বাচনে তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা জয়ী হব: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০০ দুপুর
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খান আসাদ: হিজাববোরখা পরা নারী সন্তানের সঙ্গে ক্রিকেট খেলার সাহসকে অভিনন্দন

খান আসাদ: নারী-পুরুষের সাম্যের ধারনায় বিশ্বাস হচ্ছে নারীবাদ। নারীবাদের এ টু জেড আলোচনায় প্রথম আলোচনাটি ‘এজেন্সি’। এজেন্সি, মানে এই ধারণা যে একজন ব্যক্তির সক্ষমতা আছে, তার নিজের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। নারী একজন ব্যক্তি, সে কী পড়বে বা পরবে না, কাকে ভালোবাসবে বা বিয়ে করবে কী করবে না, কোথায় বা কখন যাবে কী যাবে না, ইত্যাদি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তার আছে। নারী একজন ‘ব্যক্তি মানুষ’। কেন এই এজেন্সি বা ব্যক্তি মানুষ ধারণাটি গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ কারণ পিতৃতান্ত্রিক শুয়োরগুলো (ইংরেজি সধষব পযধাঁরহরংঃ ঢ়রম) মনে করে, নারীদের বুদ্ধি কম, ফলে কোনো এজেন্সি বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সক্ষমতা নেই। আরেকটু এগিয়ে ... নারী হচ্ছে ‘সম্পত্তি’ এবং যৌনবস্তু। এই যে বস্তুকরণ, নারীকে ছেলাকলা, তেঁতুল, মোড়ক ছাড়া চকলেট ইত্যাদি বয়ান ওয়াজে মাহফিলে প্রচার করা হয়, এটাই নারীকে ব্যক্তি মানুষ ভাবতে বা তার এজেন্সি আছে সেটা বুঝতে বাধা দেয়। নারী নামক ‘বস্তুটি’ পর্দায় থাকবে। পর্দা মানে এক বিশেষ ধরনের পোশাক, যেখানে এই যৌনবস্তুটি বা ভোগ্যবস্তুটি পুরোপুরি ঢাকা থাকবে। অনেক নারীকেই নেগোশিয়েট করতে হয়। মানিয়ে চলতে হয়। কিন্তু তাদের ইচ্ছেকে দমানো কঠিন। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া এক মায়ের ক্রিকেট খেলার ছবি ব্যখ্যা করা খুব কঠিন কিছু নয়।

নারীদের এজেন্সি আছে, ফলে শত প্রতিকূলতার মাঝেও সে তার সন্তানের জন্য প্রথাবিরোধী কাজ করে। ব্যক্তির এজেন্সি সমাজ নিরপেক্ষ নয়। নারীর এজেন্সি আছে, মানেই সে যা ইচ্ছে তাই করতে পারে না। কারণ পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থা বা সিস্টেম আছে। নারীবিদ্ধেষী ব্যবস্থার আধিপত্য আছে। নারীর ইচ্ছাকে সে অব্যাহত দমন করে চলেছে। সমালোচনা কেন? হর্কহাইমার (ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুল, কৃটিকাল থিয়োরি) খুব স্পষ্ট জবাব দিয়েছেন, ‘অন্যায়কে উন্মোচিত করা’। নারীর প্রতি যে বৈষম্য ও সহিংসতা রয়েছে, সেই অন্যায়কে উন্মোচিত করা। পোশাক নিয়ে সমালোচনা তাই নৈতিক। হিজাববোরখা পরা নারী সন্তানের সাথে ক্রিকেট খেলায় অংশ নেওয়ার সাহসকে অভিনন্দন জানানো দরকার। কারণ তিনি পুরুষশ্রেষ্ঠত্ববাদী ... দেখিয়েছেন, তারও এজেন্সি আছে। একই সাথে এই পোশাকটির চরিত্র উন্মোচন করাও জরুরি। বিশেষ করে এই পোশাকটির পিতৃতান্ত্রিক চরিত্র কি সেটাও বোঝা দরকার। বৈষম্য ও সহিংসতা টিকিয়ে রাখার রাজনীতি যে সাংস্কৃতিক আধিপত্য দিয়ে বৈধতা লাভ করে, সেই পোশাক সংস্কৃতির আধিপত্যের বিরোধিতা করা খুবই নৈতিক কাজ। এজেন্সির দোহাই দিয়ে পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে অস্বীকার করা অনুচিত। এই কাজটি করতে গিয়ে ব্যক্তি আক্রমণ একটি ভুল ও বিপদজনক অবস্থান, কারণ তা সিস্টেমকে বা পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে আড়াল করে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়