রিয়াজুর রহমান: [২] চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, মানুষ ও যানবাহন চলাচলের পথে কোন ধরণের প্রতিবন্ধকতা ও অবৈধ স্থাপনা থাকতে পারবে না। এসব অবৈধ স্থাপনা আগামী অতি দ্রুত নিজ নিজ উদ্যোগে সরিয়ে ফেলা না হলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হবে।
[৩] তিনি শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দামপাড়া স্টোর থেকে শুরু করে আগ্রাবাদ জাম্বুরী মাঠ দেওয়ানহাট ডিটি রোড, দক্ষিণ পাহাড়তলী জোড়া ঢেবা হয়ে সাগরিকা মোড় পর্যন্ত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন। প্রশাসক আগ্রাবাদস্থ জাম্বুরী মাঠ সংলগ্ন সিটি কর্পোরেশনের জায়গাটিকে জঞ্জাল মুক্ত করে সেখানে অকেজো ও পরিত্যক্ত যানবাহনের ডাম্পিং সেন্টারে পরিণত করা এবং অকেজো যানবাহনগুলো নিলামে বিক্রিরও নির্দেশ দেন।
[৪] জাম্বুরী মাঠ ও কর্ণফুলী শিশুপার্কের আশেপাশে সকল অবৈধ স্থাপনা এবং ফুটপাতের উপর দোকান-পাটের বর্ধিত অংশ উচ্ছেদ করারও নির্দেশ দেন। এছাড়া শিশু পার্কের ভেতরে অবস্থিত লেক সিটি রেস্টুরেন্টটিকে কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করে বিয়েসহ কোন ধরণের সামাজিক অনুষ্ঠান করা যাবে না বলে তিনি ঘোষণা দেন।
[৫] তিনি শিশু পার্কের ভেতরে অভ্যন্তরীন চলাচল পথে ভাঙ্গা ও যত্রতত্রভাবে ময়লা আবর্জনা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং সেখানে স্বাস্থ্যবান্ধব পরিবেশ রক্ষায় সৌন্দর্য্যবন্ধন ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার নির্দেশ দেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলাকালীন পার্ক বন্ধ রেখে বেলা দু’টার পর পার্ক খোলা এবং পার্কের আশেপাশে গড়ে উঠা অবৈধ দোকান-পাঠ ও স্থাপনা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ প্রশাসক। অন্যথায় ইজারা বাতিল করা হবে বলে সর্তক করে দেন।
[৬] এ সময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব মোহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সোহেল আহমেদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন, আবু ছালেহ, মনিরুল হুদা, সুদীপ বসাক, ঝুলন কান্তি দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, বিপ্লব দাশ, এস্টেট অফিসার কামরুল ইসলাম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :