জেরিন আহমেদ: [২] ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, গত বারের মতো এবারও পূজার মৌসুমে ইলিশ রফতানির দরজা খুলছে বাংলাদেশ।
[৩] বৃহস্পতিবার রাতেই বাংলাদেশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ইলিশ রফতানি-সংক্রান্ত অনুমতিপত্র সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর হাতে এসেছে। দিল্লি থেকে ‘স্যানিটারি ইমপোর্ট পারমিট’ আদায় করে মাছ দ্রুত এ দেশে আমদানির তোড়জোড় চলছে।
[৪] নির্দেশিকা অনুযায়ী, পূজা উপহার হিসেবে ১০ অক্টোবরের মধ্যে ১৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানো যাবে। ২২ অক্টোবর, দুর্গাপূজার সপ্তমী। গতবার ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানোর ছাড়পত্র মিলেছিল। এবার মোট নয়টি সংস্থাকে কম করে ১৫০ মেট্রিক টন করে ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছে ঢাকা।
[৫] পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ শুক্রবার বলেন, নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে ইলিশ আনতে সব রকম সহযোগিতা করছে রাজ্য।
[৬] ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব তথা হাওড়ার পাইকারি মাছ কারবারি সংগঠনের কর্তা সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বলেন, ‘‘মাঝে শুক্রবার বাংলাদেশে এবং রবিবার ভারতে ছুটি। বাধা কাটিয়ে আগামী সপ্তাহেই ইলিশ আমদানির চেষ্টা চলছে।’’
[৭] তিনি আরো জানান, পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়েই ইলিশ ঢুকে কলকাতা, হাওড়া ও শিলিগুড়ি যাবে। এখন এক কেজি-১২০০ গ্রামের বড় ইলিশের দাম কমবেশি ১৩০০ টাকা। পদ্মার ইলিশের দাম তার আশপাশেই থাকবে বলে ধারণা ইলিশ-কারবারিদের। মহালয়া ও বিশ্বকর্মা পুজোর দিন (১৭ সেপ্টেম্বর), আসন্ন রান্নাপুজোর আগেই বাঙালির ভাতপাতে মিলতে পারে পদ্মার ইলিশ।