ডেস্ক রিপোর্ট : জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের ফোরামে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে ‘শান্তির সংস্কৃতি’র আন্তর্জাতিক বর্ষ ঘোষণার ২১ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ আলোচনা হয়। এতে ৭৪তম অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট তিজ্জানি মোহাম্মদ বান্দের বাংলাদেশের ফ্ল্যাগশিপ রেজুলেশন নিয়ে কথা হয়।
কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সভায় জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস, সদস্য দেশসমূহের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা এতে বক্তব্য দেন।
এবারের সভার প্রতিপাদ্য- ‘শান্তির সংস্কৃতি : কোভিড-১৯-পরবর্তী সময়ে নতুন বিশ্ব বিনির্মাণ’ ধারণা উপস্থাপনের পাশাপাশি এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক
নেতৃত্বের কথা তুলে ধরেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ১৯৭৪ সালে প্রথমবারের মতো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণে ‘মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য শান্তি একান্ত দরকার। এই শান্তির মধ্যে সারা বিশ্বের সব নর-নারীর গভীর আশা-আকাঙ্ক্ষা মূর্ত হয়ে রয়েছে’ উদ্ধৃত করে রাবাব ফাতিমা বলেন, জাতির পিতার এ কালজয়ী বক্তব্য ও আদর্শ থেকেই উদ্ভূত হয়েছে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অবিচল প্রতিশ্রুতি, যা আমাদেরকে শান্তির সংস্কৃতির প্রসারে অনুপ্রাণিত করছে। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার ক্ষেত্রে, বিশেষ করে মহামারীকালে শান্তির সংস্কৃতির প্রাসঙ্গিকতার কথাও তুলে ধরেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।
পরে যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা থিংকট্যাংক ‘ইন্টারন্যাশনাল পিস ইন্সটিটিউট’ (আইপিআই) আয়োজিত ‘শিক্ষা, কোভিড-১৯ এবং শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক একটি সাইড ইভেন্টে প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশ নেন তিনি। মহামারীটি যাতে নতুন প্রজন্মের সংকটে পরিণত না হয়, সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন রাবাব ফাতিমা।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারীতে শিক্ষা খাতে সৃষ্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিপর্যয় মোকাবেলায় শান্তির সংস্কৃতি অনুসরণ করতে হবে। মহামারী চলাকালীন শিক্ষা ও বিদ্যার্জনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রচেষ্টার কথাও তুলে ধরেন তিনি। এতে প্যানেলিস্টদের মধ্যে জাতিসংঘের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও রাষ্ট্রদূত আনোয়ার-উল করিম চৌধুরীসহ ইউনিসেফ ও ইউনেস্কোর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।যুগান্তর
আপনার মতামত লিখুন :