শিরোনাম
◈ হ্যান্ডশেক বিতর্কে ৪৮ ঘণ্টা পর পাকিস্তানের অভিযোগ উড়িয়ে কড়া জবাব দি‌লো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ◈ বিশ্বকাপ বাছাই‌য়ে ইসরায়েলের বিরু‌দ্ধে ম্যাচের টিকিট বিক্রির টাকা ফিলিস্তিনে দান করবে নরওয়ে ◈ জাতিসংঘের এলডিসি উত্তরণের পথে বাংলাদেশ, সতর্ক থাকবার বার্তা তারেক রহমানের ◈ নির্বাহী আদেশে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা আমরা সমর্থন করি না: সালাহউদ্দিন আহমদ ◈ গণআন্দোলন রুখতে কড়া প্রস্তুতি: গবেষণায় নামছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানিতে নতুন উদ্যোগ: ‘জাপান ডেস্ক’ চালু, ভাষা প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানে বিস্তৃত কর্মপরিকল্পনা ◈ চূড়ান্তভাবে একীভূত হচ্ছে পাঁচ ব্যাংক, বসছে প্রশাসক ◈ ফরিদপুরে আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে অসন্তোষ, যা বলছেন ইসি সচিব ◈ পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে যে কারণে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার ◈ প্রবাসীদের কল্যাণে মালদ্বীপে হাইকমিশনের নতুন উদ্যোগ

প্রকাশিত : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৬:৩৬ সকাল
আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৬:৩৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] কোভিড শনাক্ত রোগীর ৬৫ দশমিক ৯ শতাংশই ঢাকার বাইরে

শিমুল মাহমুদ: [২] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, নমুনা পরীক্ষায় ঢাকায় প্রতি ১১ জনে ১ জন এবং ঢাকার বাইরে প্রতি ৪ জনে ১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ১১টি। এর মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ পরীক্ষা হয়েছে ঢাকা মহানগরে। বাকি ৪০ শতাংশ পরীক্ষা হয়েছে ঢাকার বাইরে। দেশে এখন ৯৪টি পরীক্ষাকেন্দ্রে করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরে ৫৪টি আর ঢাকার বাইরে ৪০টি।

[৩] পরীক্ষাকেন্দ্র নেই এমন দুটি জেলার সিভিল সার্জন নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, তাদের জেলায় পরীক্ষাকেন্দ্র চালু করতে বেশ কয়েকবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগাযোগ করা হয়েছে। জেলায় পরীক্ষাকেন্দ্র না থাকায় নমুনা সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং অন্য জেলায় তা পরিবহনে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। জেলায় পরীক্ষাকেন্দ্র না থাকায় জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট এমন উপসর্গ থাকলেই নমুনা নেওয়া হচ্ছে।

[৪] গতকাল পর্যন্ত দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৭০ জনের। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) ওয়েবসাইটে শনাক্ত রোগীদের এলাকাভিত্তিক তথ্য দেওয়া হয়। গতকাল পর্যন্ত ২ লাখ ৪৮ হাজার ৭২৩ জন রোগীর এলাকাভিত্তিক তথ্য নিশ্চিত করেছে আইইডিসিআর। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মোট শনাক্ত রোগীর ৬৫ দশমিক ৯ শতাংশ ঢাকার বাইরের। আর শনাক্ত রোগীর ৩৪ দশমিক ১ শতাংশ ঢাকা মহানগরের।

[৫] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) হাবিবুর রহমান বলেন, যেসব জেলায় পরীক্ষাকেন্দ্র নেই সেখানকার সিভিল সার্জন কার্যালয় ও উপজেলা হাসপাতাল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হচ্ছে। সুযোগ পাওয়ামাত্রই জেলায় পরীক্ষাকেন্দ্র চালু করা হচ্ছে। ঢাকার বাইরে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা বাড়াতে কাজ চলছে।

[৬] বিশেষজ্ঞ বলছেন, সরকার জেলা পর্যায়ে পরীক্ষার পর্যাপ্ত সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ঢাকার বাইরে পরীক্ষা বেশি হলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আরও বেশি হতো। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নমুনা সংগ্রহ সীমিত। এ কারণে নমুনা সংগ্রহকারীরা সন্দেহভাজন রোগীদের উপসর্গ নিশ্চিত হয়েই নমুনা নিচ্ছেন। অন্যদিকে ঢাকা মহানগরে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নমুনা পরীক্ষা করছে, উপসর্গ না থাকলেও অনেকে সেখানে পরীক্ষা করাতে পারছেন। ঢাকায় বিদেশগামী অনেক যাত্রীর পরীক্ষার তথ্যও যুক্ত করা হচ্ছে।

[৭] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য নজরুল ইসলাম বলেন, প্রতি জেলায় করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আরও বাড়ত। সব জায়গা থেকে সমানসংখ্যক নমুনা সংগ্রহ না করা হলে সংক্রমণের তথ্যেও ভুল থাকবে। প্রতিটি জেলায় দ্রুততম সময়ে করোনার পরীক্ষাকেন্দ্র চালু করা জরুরি। ঢাকার বাইরে নমুনা সংগ্রহের সংখ্যা বাড়াতে হবে। সূত্র: প্রথম আলো অনলাইন

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়