শিরোনাম
◈ বিদেশে আশ্রয় আবেদনে শীর্ষে বাংলাদেশিরা: বাড়ছে আবেদন, কমছে স্বীকৃতি ◈ মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে গুম অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ ◈ মাঝরাতে কক্সবাজারে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত ◈ যেসব সুবিধা পান রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা  ◈ আইআরআই জরিপ: ইউনূস সরকারের প্রতি আস্থা অটুট, ৮০% বাংলাদেশি অবাধ–সুষ্ঠু নির্বাচনে আশাবাদী ◈ খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় মোদির বার্তা: চিকিৎসায় সর্বাত্মক সহযোগিতায় প্রস্তুত ভারত ◈ খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা করেছে সরকার ◈ ইন্টার মিলা‌নের জয়, জোড়া গোল করে ইতিহাস লাউতারোর ◈ প্রাথমিক শিক্ষকদের মঙ্গলবারও কর্মবিরতি, হবে না বার্ষিক পরীক্ষা ◈ ২০২৬ থেকে বাধ্যতামূলক সিবিএমএস: বন্ড ব্যবস্থাপনায় পূর্ণ ডিজিটাল যুগে এনবিআর

প্রকাশিত : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৫:৪৮ সকাল
আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৫:৪৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

২১ দিনের মেয়েকে দেখা হলো না তারেকের, কবরের পাশে স্ত্রীর আহাজারি

ডেস্ক রিপোর্ট : মাত্র ২১ দিন আগে কন্যাসন্তানের বাবা হন তারেক হোসেন কাউয়ুম। এরমধ্যে তার বড় ভাইয়ের ঘরেও একটি কন্যাসন্তান আসে। ঢাকায় থাকায় নিজের সন্তানকে না দেখলেও বড় ভাইয়ের মেয়েকে দেখতে উত্তরার একটি হাসপাতালে ছুটে যান তিনি। কিন্তু জন্মের চারদিন পর সেই নবজাতকটি মারা যায়।
ভাইয়ের মেয়ের লাশ অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে পরিবারের পাঁচজন গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির উদ্দেশে রওনা হন। পথে তাদেরও হতে হলো লাশ। প্রিয় সন্তানের মুখ প্রথমবারের মতো দেখা হলো না তারেকের।

বুধবার বিকেলে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার আটিপাড়া এলাকায় বাস-অ্যাম্বুলেন্স-কাভার্ডভ্যানের ত্রিমুখী সংঘর্ষে তারেকসহ ছয়জন নিহত হন। একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যুতে শোকের মাতম চলছে ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাউকাঠিতে।

নিহতের স্বজনরা জানান, সন্তান জন্মের পাঁচদিন আগে চাকরিতে যোগ দিতে ঢাকায় যান তারেক। সন্তান জন্মের পর সরাসরি তার মুখ দেখা হয়নি। মোবাইলে ছবি দেখেই খুশি ছিল। প্রিয় সন্তানকে ছুঁয়ে দেখা হলো না তার।

স্বামী, ভাইসহ পরিবারের ছয়জনকে হারিয়ে নির্বাক তারেকের স্ত্রী ঝিলিমিল আক্তার মরিয়ম। কোলে ২১ দিন বয়সের সন্তান উম্মে ফাতিমাকে নিয়ে কবরের পাশে আহাজারি করছেন। কান্না যেন থামছে না মরিয়মের। সন্তানের মুখের দিকে তাকাচ্ছেন, আর চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরছে অঝোরে।

এদিকে দুর্ঘটনার খবর শুনে বুধবার সন্ধ্যার পর থেকেই নিহতদের বাড়িতে ভিড় করেন স্থানীয়রা। বিভিন্ন স্থান থেকে আত্মীয়স্বজনরাও আসেন নিহতের পরিবারের লোকজনকে সান্ত্বনা দিতে। তাদের কান্নায় বাতাস ভারী হয়ে যায়।

রাজধানীর উত্তরার শিন শিন জাপান হাসপাতাল থেকে বুধবার ভোরে অ্যাম্বুলেন্সে নবজাতকের লাশ নিয়ে ঝালকাঠির বাউকাঠি গ্রামে আসার পথে হৃদয়বিদারক এ ঘটনাটি ঘটে। স্বজনহারাদের আহাজারি দেখে প্রতিবেশীরাও চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। তারাও এমন মৃত্যুকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না।

নিহতরা হলেন- বাউকাঠি গ্রামের তারেক হোসেন কাউয়ুম, তার বড় ভাই আরিফ হোসেন, মা কহিনুর বেগম, ছোট বোন শিউলী বেগম ও ভাইয়ের শ্যালক নজরুল ইসলাম। অ্যাম্বুলেন্সে ছিল আরিফের মৃত চারদিন বয়সের কন্যাসন্তান।

 

বাউকাঠি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে তারেক ও আরিফ ঢাকা উইনডে ওয়াশিং কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তারা ঢাকাতেই থাকতেন। আরিফের স্ত্রী তামান্না আক্তার তিন্নি সন্তান প্রসবের পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশের মাদরাসা মাঠে নিহতদের মধ্যে পাঁচজনের জানাজা হয়। এতে অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়